স্টাফ রিপোর্ট || দেশের জনশক্তি রপ্তানির প্রধান মাধ্যম রিক্রুটিং এজেন্সি সমূহ। এই এজেন্সি সমূহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শ্রমবাজার খুঁজে খুঁজে প্রায় দেড় কোটি শ্রমিক পাঠিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে বাংলাদেশের জাতীয় রিজার্ভকে শক্ত ভিত্তির উপর দাঁড় করেছে। বিশ্বে বাংলাদেশের শ্রমবাজারের উল্লেখযোগ্য দেশ হলো মধ্যপ্রাচ্যের সৌদি আরব। সৌদি আরবে শ্রমিক পাঠানোর জন্য রিক্রুটিং এজেন্সি সমূহ সৌদি এম্বেসীর এনলিস্টেড হতে হয়। সৌদি আরব সরকার ও দূতাবাসের আইনকানুন ও শর্তাবলী সম্পন্ন করে সৌদি দূতাবাস কর্তৃক বাংলাদেশের রিক্রুটিং এজেন্সি সমূহকে এনলিস্টেড করে। বিগত বছরগুলোর বিভিন্ন সময়ে অভিজ্ঞ ও সৎ সৌদি কনস্যুলারগণ সততা, দক্ষতা ও ন্যায় নিষ্ঠার সহিত রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে সুনামের সহিত সেবা প্রদান ও পরিচালনা করে আসছেন।
সৌদি দূতাবাসে সম্প্রতি নিযুক্ত ভিসা কনস্যুলার খালেদ ছোটখাটো ঠুনকো ভুল ও অজুহাতে প্রায় ৩০০-৩৫০ টি রিক্রুটিং এজেন্সিকে ব্ল্যাক লিস্ট করে তাদের ভিসা প্রসেসিং কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। ভিসা প্রসেসিং তথায় ব্যবসা বন্ধ করার কারণে মালিকদের অফিস ভাড়া, স্টাফ বেতন , ছেলে মেয়ের পড়াশোনার খরচ, পরিবার পরিজন নিয়ে খুব কষ্টে দিন যাপন করছে। সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে কনস্যুলারের সাথে দেখা করার জন্য দিনের পর দিন সৌদি দূতাবাসের গেটে অপেক্ষা করেও কনস্যুলারের দেখা পাওয়া যায় না। ভূক্তভোগী এজেন্সি মালিকগণ বলেন, দূতাবাসের গেটে দায়িত্বরত সৌদিয়ান ই-মেইল করার জন্য আমাদেরকে বলেন, আমরা এজেন্সি মালিকগণ আশা নিয়ে ই-মেইল করি কিন্তু সৌদি দূতাবাস থেকে অদ্যাবধি একটি ই-মেইলেরও উত্তর দেওয়া হয়নি, সমস্যার সমাধান করা হয়নি। রিক্রুটিং এজেন্সি মালিকদের আরও অভিযোগ, নতুন কনস্যুলার আমাদের লাইসেন্সের সমস্যার সমাধানের বিষয়ে লাইসেন্স মালিকদের সাথে দেখা করছেন না এবং গুরুত্বপূর্ণ এ সমস্যা সমাধানের বিষয়ে কোন ন্যায় সঙ্গত উদ্যোগ নিচ্ছেন না।
এই প্রতিবেদক বিভিন্ন মাধ্যমে অনুসন্ধানে জানতে পারেন, কনস্যুলারের ঘনিষ্ঠ কয়েকজন কাছের লোক ব্ল্যাকলিস্টকৃত এজেন্সি মালিকদের সাথে গোপনে যোগাযোগ করে মোটা অংকের ডলারের বিনিময়ে ব্ল্যাকলিস্টকৃত কয়েকটি এজেন্সির স্থগিতাদেশ তুলে নিয়ে কার্যক্রম চালু করে দিয়েছে । এ প্রসঙ্গে সৌদি দূতাবাসের মতামতের জন্য তাদের ০২৫৫৬৬৪০১৫ নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোন মতামত/তথ্য পাওয়া যায়নি। ক্ষতিগ্রস্ত কয়েকজন রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকের সাথে যোগাযোগ করলে তারা জানান, সৌদি দূতাবাসের একপেশী অন্যায় সিদ্ধান্তের কারণে আমরা ব্যবসা ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ৩৫০ জন এজেন্সি মালিক আজ পথে বসার উপক্রম হয়েছে। সৌদি সরকার, বাংলাদেশস্হ সৌদি দূতাবাস, বাংলাদেশ সরকার, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় কর্তৃক আমাদের সমস্যার সমাধানে এগিয়ে এসে যথাযথ ভূমিকা রাখবেন বলে আশাকরি।