স্বাস্থ্য ডেস্ক || যাদের রাতে বার বার প্রস্রাব করতে হয় তারা ভালোমতো ঘুমাতে পারেন না। ফলে নানা সমস্যায় ভুগতে শুরু করেন। বার বার প্রস্রাব বা অধিক পরিমাণ প্রস্রাব— এই উপসর্গ দুটি আলাদা। বার বার প্রস্রাব হওয়া মানেই ডায়াবেটিস নয়। অনেকের ক্ষেত্রে ঘন ঘন প্রস্রাবের মূল কারণ হলো শুধু অধিক বা অস্বাভাবিক পরিমাণে পানি বা পানীয় গ্রহণ।
ভারতীয় ফিটনেস এক্সপার্ট দীপিকা শর্মা বলছেন, ‘‘পানি পান করার আধা ঘণ্টা পরে কিডনি তার কাজ করতে শুরু করে। এবং ছয় ঘণ্টার মধ্যে ওই পানি মূত্রাশয়ে এসে জমা হতে থাকে। এই মূত্রাশয় বা ব্লাডারের নির্দিষ্ট ধারণ ক্ষমতা রয়েছে। কোনও ব্যক্তি ঘুমোচ্ছেন বলে অনির্দিষ্ট কালের জন্য সে প্রস্রাব ধরে রাখতে পারে না। তাই ঘুম থেকে ওঠার পরেই বাথরুমে ছুটতে হয়। পানি পানের পরিমাণ বেশি হলে মধ্য রাতেও ঘুম ভেঙে যেতে পারে।’’
এই ধরনের সমস্যা এড়াতে কী করতে হবে?
প্রস্রাব ত্যাগ করার সঙ্গে অবশ্যই সারা দিনে কখন, কতটুকু পানি পান করছেন, তার একটি যোগসূত্র রয়েছে। দীপিকা বলেন, ‘‘সারাদিনে কতটুকু পানি পান করছেন, তার হিসার রাখুন। সকালে ঘুম থেকে উঠে একসঙ্গে অনেক পানি পান না করে সারাদিনে অল্প অল্প পরিমাণে পানি পান করুন। এতে শরীর যেমন হাইড্রেটেড থাকবে আবার প্রস্রাব ত্যাগ করার জন্য ঘুমেরও ব্যাঘাত ঘটবে না। ’’
কখন চিকিৎসকের কাছে যাবেন
রাতে যদি ঘন ঘন প্রস্রাব ত্যাগ করার জন্য জাগতে হয় তাহলে ঘুম ঠিকমতো হয় না। এ রকম কোনো পরিস্থিতি তৈরি হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
অনেকে প্রস্রাবের বেগ থাকার পরেও ঘুম থেকে জাগতে চান না। তাদের শরীরে নানা রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। কারণ, ব্লাডার বা মূত্রাশয় হলো অনেকটা বেলুনের মতো। পানি পান করার পরে একটু একটু করে পানি মূত্রাশয়ে জমতে শুরু করে। আর ব্লাডার পূর্ণ হয়ে গেলে মস্তিষ্কে সংকেত যায়। তখন প্রস্রাব ত্যাগ করার প্রয়োজন পড়ে।
এই সময় যদি প্রস্রাব না করে জমিয়ে রাখেন তাহলে ব্লাডারটি বেলুনের মতো ফুলতে থাকবে এবং মূত্রাশয়ের দেওয়ালে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করবে। এতে মূত্রাশয়জনিত নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।