1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : Golam Saroar : Golam Saroar
চালের দাম কমেছে, স্থিতিশীল সবজির বাজার - দৈনিক প্রথম ডাক
সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:০১ পূর্বাহ্ন

চালের দাম কমেছে, স্থিতিশীল সবজির বাজার

তানভীর আহমেদ
  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ২২ বার দেখা হয়েছে

তানভীর আহমেদ || চালের দামের ঊর্ধ্বগতি রোধ করে বাজার স্থিতিশীল রাখতে গত আগস্টে বেসরকারিভাবে ৫ লাখ টন চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। আমদানি করা চালের সরবরাহ ভালো থাকায় দামও কমতে শুরু করেছে। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, বাজারে এখন প্রতি কেজি চালের দাম ২ থেকে ৪ টাকা পর্যন্ত কমেছে।

শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর নিউ মার্কেট হাজারীবাগসহ গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলো ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।

এখন বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি নাজিরশাইল চাল বিক্রি হচ্ছে ৭৬ থেকে ৮২ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ৮০ থেকে ৮৬ টাকা। এ হিসেবে নাজিরশাইল চালের দাম কমেছে প্রতি কেজিতে ৪ টাকা। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে গড়ে ৭৪ থেকে ৭৯ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ৭৬ থেকে ৮২ টাকা। মাঝারি মানের ব্রি-২৮ জাতের চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৯ থেকে ৬১ টাকা কেজি দরে, যা গত সপ্তাহে ছিল ৬১ থেকে ৬৪ টাকা। পাইজাম চালের দাম এখন ৫৯ থেকে ৬০ টাকা প্রতি কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৬১ থেকে ৬২ টাকা। স্বর্ণা ও গুটি চাল বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৪ টাকা কেজি দরে, যা গত সপ্তাহে ছিল ৫৪ থেকে ৫৬ টাকা।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সরকার সরবরাহ স্বাভাবিক ও দাম নাগালের মধ্যে রাখতে চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়। সে অনুযায়ী, গত ১২ আগস্ট আমদানিকারকদের ইমপোর্ট পারমিশন (আইপি) দেওয়া শুরু করে কৃষি মন্ত্রণালয়। ২০ আগস্টের পর ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু হয়।

আগামী আমন মৌসুমের আগে পর্যন্ত বাজার স্থিতিশীল রাখতে বেসরকারিভাবে ৫ লাখ টন চাল আমদানির জন্য ২৪২টি প্রতিষ্ঠানকে বাছাই করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে আমদানি অনুমতিপত্র (আইপি) জারির জন্য লিখিত অনুরোধ জানায় খাদ্য মন্ত্রণালয়। সরকারিভাবে আরো ৪ লাখ টন চাল আমদানির সিদ্ধান্ত হয়েছে, যা টিসিবি, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিসহ বিভিন্নভাবে ভর্তুকি মূল্যে সাধারণ মানুষের কাছে বিক্রি করবে বিভিন্ন সরকারি সংস্থা।

স্থিতিশীল আছে সবজিসহ মুদিপণ্যের দাম
বিক্রেতারা জানিয়েছেন, সরবরাহ ভালো থাকায় এবং বাজারে শীতকালীন সবজি আসতে শুরু করায় দাম কিছুটা কমতে শুরু করছে। এখন বাজারে দেশি শশা ৬০ থেকে ৭০ টাকা, বেগুন ৮০ থেকে ৯০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, দেশি গাজর ১০০ থেকে ১১০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৩০ টাকা, পটল ৭০ টাকা, কাকরোল ৭০ টাকা, কচুরমুখী ৬০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, মুলা ৮০ টাকা, টমেটো ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা, সিম ১২০ থেকে ১৫০ টাকা, কাঁচামরিচ ১৮০ থেকে ২০০ টাকা এবং প্রতি পিস জালি কুমড়া ও লাউ ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে এখন দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে। আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। রসুন ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা এবং দেশি আদা ১৮০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মাছ, মুরগি ও ডিমের দাম উচ্চমূল্যে স্থিতিশীল
মাঝারি আকারের চাষের রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজি দরে। প্রতি কেজি চাষের পাঙাস ২০০ থেকে ২২০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ থেকে ২৫০ টাকা, মাঝারি আকারের কৈ ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকা, দেশি শিং ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, বড় আকারের পাবদা ৫০০ টাকা, চিংড়ি ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, দেশি পাঁচমিশালি ছোট মাছ ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা এবং এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ মাছ ২ হাজার ১০০ থেকে ২ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে এখন প্রতি ডজন ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায়। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, সোনালি মুরগি ২৮০ থেকে ৩৩০ টাকা, গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা এবং খাসির মাংস ১ হাজার ১৫০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কী বলছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা
রাজধানীর হাজারীবাগ কাঁচাবাজারের কেনাকাটা করতে আসা শিক্ষার্থী আল‌ সাদী সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, আমাদের মতো শিক্ষার্থী যারা ঢাকায় ব্যাচেলর থাকেন, তারা চাহিদা অনুযায়ী কিছু কিনতে পারছেন না। কারণ, আমাদেরকে পরিবার থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা দেওয়া হয়, যা দিয়ে পড়াশোনা খরচ, বাসাভাড়া ও খাবার খরচ মেটাতে হয়। আজ অবশ্য কয়েক সপ্তাহের তুলনায় চালের দাম সামান্য কম দেখলাম। সরকারকে বলব, সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখুন।

রাজধানীর নিউ মার্কেটের নাদির রাইস এজেন্সির স্বত্বাধিকারী নাদিম মুন্সী সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, মানভেদে চালের দাম প্রতি বস্তায় ১০০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। সরকার আমদানির অনুমতি দেওয়ায় চালের দাম কমেছে। তা নাহলে যে হারে দাম বাড়তেছিল, তাতে সাধারণ মানুষের অনেক কষ্ট হত। এখন ভারত থেকে চাল আমদানি বেড়েছে। এভাবে আমদানি অব্যাহত থাকলে আরো দাম কমবে বলে আশা করছি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed By: SISA IT