স্বাস্থ্য ডেস্ক || রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে গেলে কিডনির রোগসহ নানা রোগের ঝুঁকি বাড়ে। চিকিৎসকেরা বলেন, ‘‘আমিষজাতীয় খাবার বেশি গ্রহণ করার কারণে কোষের বিপাকক্রিয়ায় উপজাত হিসেবে ইউরিক অ্যাসিড বেশি তৈরি হয়।’’
রক্তে ইউরিক অ্যাসিড বাড়ার পেছনে স্থূলতা, নানা ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, পিউরিনসমৃদ্ধ খাবার বেশি খাওয়ার মতো বিষয়গুলো দায়ী। ইউএস ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিনের তথ্য, ‘‘মানুষ যেসব খাবার খায় তাতে উপস্থিত পিউরিন নামক উপাদানগুলো ভেঙে গেলে শরীরে ইউরিক অ্যাসিড তৈরি হয়।’’
নিউজ এইটটিন এর তথ্য, ‘‘ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে কিডনিতে পাথর, রক্তচাপ এবং হৃদরোগে ভুগতে হতে পারে।’’ সুতরাং ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে খাবার গ্রহণে সচেতন হওয়া জরুরি।
ভিটামিন সি
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ‘‘যারা নিয়মিত ভিটামিন সি জাতীয় খাবার গ্রহণ করেন তাদের রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।’’ শুধু লেবু বা সাইট্রাসজাতীয় ফল নয়, চেরি, স্ট্রবেরি বা টকজাতীয় যে কোনও ফলেই অল্প হলেও ভিটামিন সি থাকে। তাই প্রতি দিন সামান্য হলেও টক ফল খাওয়া উচিত।
‘লো ফ্যাট’ দুধ
‘ফুল ক্রিম’ বা ‘ফুল ফ্যাট’ যুক্ত দুধের বদলে প্রতি দিন ‘ডবল টোনড’ বা ‘স্কিমড’ দুধ থেকে বাড়িতে পাতা দই খেতে পারেন। বানাতে পারেন ঘোল, পনিরও।
ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড
সামুদ্রিক মাছে থাকা ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ভাল। কিন্তু সামুদ্রিক মাছে ক্ষতিকারক ‘পিউরিন’ নামক একটি যৌগ থাকে, যা ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়িয়ে তোলে। তাই সার্ডিন, ট্রাউট বা টুনার মতো সামুদ্রিক মাছ না খেয়ে পমফ্রেট বা ইলিশ খেতে পারেন।
ফাইবারযুক্ত খাবার
ফাইবার জাতীয় খাবার বেশি করে খান। কুমড়ো, ব্রকোলি, ওটস বা দানাশস্য— সবতেই ফাইবারের পরিমাণ বেশি। এই সব খাবারে থাকা ডায়েটারি ফাইবার ইউরিক অ্যাসিডের উৎপাদন কমিয়ে দিতে পারে।
উদ্ভিজ্জ প্রোটিন
শরীর সুস্থ রাখতে প্রতি দিন খাবারে প্রোটিন রাখতেই হবে। এ দিকে প্রাণীজ প্রোটিন বেশি খেলে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যাবে। এমন পরিস্থিতিতে উদ্ভিদই ভরসা। শাকসব্জি খাওয়ার পাশাপাশি নানা রকম দানা, ডাল, মাশরুম খাবারের তালিকায় যোগ করতে পারেন।