স্বাস্থ্য ডেস্ক || খাওয়ার পরে হাঁটার সংস্কৃতি বেশি জনপ্রিয়। এটি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। তবে ওজন কমানোর জন্য খাওয়ার আগে হাঁটার জন্য উৎসাহিত করেন-চিকিৎসকেরা। খাওয়ার আগে হাঁটলে যে যে উপকার পাবেন, খাওয়ার পরে হাঁটলে সেগুলো নাও পেতে পারেন। বোঝা উচিত যে, আপনার জন্য কোন সময়ে হাঁটা উপকারী।
যখনই হাঁটেন না কেন নিয়ম মেনে হাঁটতে হবে। খুব জোরে বা দ্রুত হাঁটবেন না। আরাম করে ধীর বা মাঝারি গতিতে হাঁটুন। শুরুতেই অনেক বেশি হাঁটার প্রয়োজন নেই, ৫-১০ মিনিট দিয়ে শুরু করতে পারেন। খাওয়ার পরে হাঁটার অভ্যাস থাকলে যে উপকার পাবেন
অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে
খাওয়ার ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর হাঁটা শুরু করতে পারেন। এই অভ্যাস হজমে সহায়তা করে, কারণ হাঁটা পাকস্থলী ও অন্ত্রকে উদ্দীপিত করে এবং খাদ্যকে পরিপাকতন্ত্রের মধ্য দিয়ে দ্রুত সরাতে সাহায্য করে। ফলে গ্যাস, অ্যাসিডিটি বা পেট ফাঁপার মতো সমস্যা কমে যায়।
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে
খাবারের পর রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। এই সময়ে হাঁটলে শরীর সেই গ্লুকোজকে শক্তির জন্য ব্যবহার করে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আনতে দারুণভাবে সাহায্য করে
খাওয়ার আগে হাঁটার উপকারিতাও অনেক। মোট কথা নিয়মিত হাঁটলে স্বাস্থ্যের ওপর ইতিবাচক প্রভাব পরে। সকালে হাঁটার সবচেয়ে ভালো দিক হলো:
ওজন কমে
সকালে খালি পেটে হাঁটা বা হালকা কিছু খেয়ে হাঁটা ওজন কমানোর জন্য বেশি কার্যকর হতে পারে।
খালি পেটে হাঁটলে শরীর জমে থাকা চর্বি বা গ্লুকোজ ব্যবহার করে শক্তি উৎপাদন করে, যা চর্বি পোড়াতে এবং দ্রুত ওজন কমাতে সহায়ক।
মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে
সকালের হাঁটা মানসিক সতেজতা বাড়ায়, চাপ কমায় এবং সারা দিনের জন্য একটি ইতিবাচক মেজাজ তৈরি করে।
তবে, ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে খালি পেটে হাঁটার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত, কারণ এতে শর্করার মাত্রা খুব বেশি কমে যেতে পারে।
উল্লেখ্য, আপনি যদি হজম প্রক্রিয়া উন্নত করতে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান, তবে খাওয়ার পরে হাঁটা সবচেয়ে ভালো। আপনি যদি ওজন কমাতে চান এবং সময় পান, তবে খালি পেটে বা হালকা কিছু খেয়ে হাঁটতে পারেন।
সূত্র: এনডিটিভি