হবিগঞ্জ প্রতিনিধি || হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার সুরমা চা বাগানের প্রায় ১০ হাজার মানুষের যাতায়াত সুবিধার্থে ছড়ার ওপর ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি করা হয় একটি সেতু। নির্মাণের পর থেকে সেতুর দুই পাশের অ্যাপ্রোচ সড়ক ধীরে ধীরে সম্পূর্ণভাবে ধসে পড়ছে। ফলে প্রতিদিন শ্রমিক, শিক্ষার্থী ও রোগীদের বালুকাদা মাড়িয়ে শুকিয়ে যাওয়া ছড়ার মধ্যদিয়ে পায়ে হেঁটে চলাচল করতে হচ্ছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, ২০২২ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) তত্ত্বাবধানে সুরমা চা বাগানের ছড়ার ওপর সেতুটি নির্মিত হয়। নিম্নমানের কাজ ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির কারণে সেতুর দুই পাশের সংযোগ সড়কের মাটি বৃষ্টির পানিতে ধসে পড়ে। ফলে সেতুটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
চা শ্রমিক নির্মলা দেবী বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে এ সেতুর কারণে আমাদের জীবন কষ্টের মধ্যে কাটছে। বৃষ্টি নামলে ছড়া পার হওয়া যায় না। অনেক সময় পা পিছলে পড়ে যেতে হয়। বৃষ্টির কারণে বিভিন্ন সময় সেতুর সংযোগ সড়কের মাটি সরে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।”
টিংকু সাঁওতাল বলেন, “ব্রিজটি এখন আমাদের জন্য বিপদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা চাই দ্রুত সেতুটির সংযোগ সড়ক তৈরি করা হোক। যাতে এলাকাবাসী নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারেন।” স্থানীয় ইউপি সদস্য লতিফ হোসেন বলেন, “সেতুটি স্থানীয় জনগণের দীর্ঘদিনের চাহিদা পূরণ করেছিল। এখন তা অভিশাপে পরিণত হয়েছে।”
সুরমা চা বাগানের সহকারী ব্যবস্থাপক কমল সরকার বলেন, “অ্যাপ্রোচ সড়ক ধসে যাওয়ার পর আমরা উপজেলা প্রশাসন ও এলজিইডি দপ্তরে বারবার লিখিতভাবে জানিয়েছি। কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। শ্রমিকরা প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন। বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।”
মাধবপুর উপজেলা প্রকৌশলী মো. রেজাউন নবী বলেন, “ব্রিজের কাজ এখনো পুরোপুরি শেষ হয়নি। এটি চলমান প্রকল্প। বরাদ্দ এনে বাকি কাজ শেষ করার পর আমরা সেতুটি চালু করার চেষ্টা করছি।”