1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : Golam Saroar : Golam Saroar
ওড়িশায় বাঙালিদের গ্রাম জ্বালিয়ে দিয়েছে আদিবাসীরা - দৈনিক প্রথম ডাক
বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:১৬ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ ::
সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিকের ওপর হামলা, নারী ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার এনসিপির প্রার্থী তালিকায় তাসনিম জারা, তাজনূভা জাবীনসহ ১৪ নারী পদত্যাগের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানাবে: আসিফ মাহমুদ মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যার ঘটনায় গৃহকর্মী গ্রেপ্তার রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে আইকিউ এসি চতুর্থ বর্ষের কর্মশালা অনুষ্ঠিত বিপিএলে খেলতে ১০ ক্রিকেটারকে ছাড়পত্র দিল পাকিস্তান যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ে আবারো বন্দুক হামলা, শিক্ষার্থী নিহত নির্বাচন করব, তবে পদত্যাগের বিষয়ে এই মুহূর্তে কিছু বলতে পারব না : আসিফ মাহমুদ এনসিপির প্রার্থী তালিকায় নেই রিকশাচালক সুজন নির্বাচন ঘিরে সরগরম কেরাণীগঞ্জের রাজনীতি

ওড়িশায় বাঙালিদের গ্রাম জ্বালিয়ে দিয়েছে আদিবাসীরা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৫
  • ৭ বার দেখা হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || বিজেপি শাসিত ওড়িশায় জ্বলছে বাঙালি গ্রাম। স্থানীয় এক আদিবাসী নারীকে খুনের ঘটনায় কয়েকজন বাঙালির সম্পৃক্ততা রয়েছে, এমন অভিযোগ তুলে বাঙালিদের একটা গোটা গ্রামটি ছারখার করে দিয়েছে একটি আদিবাসী গোষ্ঠী।

স্থানীয় সূত্র জানায়, ভয়াবহ ঘটনাটি গত রবিবারের। মঙ্গলবার ঘটনাটি সর্বভারতীয় গণমাধ্যমের বদৌলতে প্রকাশ্যে আসে। ওড়িশায় প্রত্যন্ত মালকানগিরির এমভি-২৬ গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।

ওইদিন স্থানীয় পোতেরু নদী থেকে পদিয়ামি (৫৫) নামের এক আদিবাসী প্রৌঢ়ার মুণ্ডুহীন দেহ উদ্ধার করা হয়। রাখেলগুড়া গ্রামের কোয়া আদিবাসী সম্প্রদায়ের বাসিন্দা ছিলেন তিনি। সেই নদীর পাশেই রয়েছে সুকুমার মণ্ডল নামে এক বাঙালি কৃষকের জমি। আদিবাসীদের অভিযোগ, পদিয়ামিকে অপহরণ করে খুন করেছেন সুকুমার ও তার পরিচিতরা। কারণ দীর্ঘদিন ধরেই জমি সংক্রান্ত বিষয়ে সুকুমারের সঙ্গে পদিয়ামির মনোমালিন্য ছিল। সেই কারণেই তাকে খুন করা হয়েছে। তবে আদিবাসী প্রৌঢ়াকে খুনের অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন সুকুমার মণ্ডল।

ঘটনার পর থেকেই উত্তাল মালকানগিরি। গত রবিবার ওই বাঙালি গ্রামে হামলা চালায় অন্তত পাঁচ হাজার আদিবাসী। কুড়াল, তলোয়ার, তীর-ধনুক হাতে হামলা চালায় তারা। জেলা সদর থেকে মাত্র ১৬ কিলোমিটার দূরের ওই গ্রামে ঢুকে একের পর এক বাড়ি, ঘরের জিনিসপত্র, পশু, যানবাহন জ্বালিয়ে দেয় হামলাকারীরা। পরপর ৬০টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। প্রাণ বাঁচাতে আতঙ্কে বাড়িঘর ছেড়ে পালায় বাঙালিরা।

এমভি-২৬ গ্রামের বাসিন্দা সত‌্যজিৎ হালদার বলেন, “হাজার হাজার আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ দুপুরে যখন বাঙালি গ্রামে হামলা চালায়, প্রায় ৬০টি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়, তখন মনে হচ্ছিল আর প্রাণে বাঁচব না কেউই। সবকিছু পুড়ে খাক হয়ে যাবে। পরিবারগুলোর হা-হুতাশ করার শক্তিও নেই।”

রবিবারের ঘটনার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মালকানগিরিতে পুলিশ ও বিএসএফ মোতায়েন করা হয়। কিন্তু সোমবার পুলিশের সামনে বাঙালি গ্রামে ঢুকে আবারো বাড়িতে বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে আদিবাসীরা। ওই সময় পুলিশ কার্যত নিশ্চুপ ছিল এবং নীরব দর্শকদের ভূমিকা পালন করেছে বলে অভিযোগ।

সোমবার সন্ধ্যায় ওড়িশার সরকার জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টা মালকানগিরি জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকবে এই জেলায়।

মালকানগিরির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিনোদ পাটিল জানিয়েছেন, অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। আদিবাসী নারীকে হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে শুভরঞ্জন মণ্ডল নামে এক ব্যক্তিকেও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কিন্তু পরিস্থিতি আরো জটিল হচ্ছে।

এদিকে, গ্রামের বাঙালি বাসিন্দারা নিরাপত্তা ও বিচারের দাবিতে কালেক্টর অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য গোটা এলাকায় দমকল বাহিনী, পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

ওড়িশা পুলিশের দক্ষিণ পশ্চিম শাখার আইজি কানোয়াল বিশাল সিং ইতিমধ্যেই জেলা প্রশাসনকে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে শান্তি বৈঠক করেছেন। গ্রামের ১০ কিলোমিটার বৃত্তে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed By: SISA IT