নিজস্ব প্রতিবেদক || গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর ও তার দলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
শনিবার (৩০ আগস্ট) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি রিফাত রশিদ স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমের পাঠানো এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, শুক্রবার (২৯ আগস্ট) রাত সোয়া ৮টার দিকে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে গণঅধিকার পরিষদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে যৌথবাহিনী হামলা চালায়। এতে নুরুল হক নুরসহ তার দলের একাধিক নেতা-কর্মী আহত হন।
নুরুল হক নুর ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন, আবরার ফাহাদ হত্যাবিরোধী আন্দোলনসহ নানা গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সামনের সারির যোদ্ধা ছিলেন। সর্বশেষ জুলাই অভ্যুত্থানেও তিনি অন্যতম সহযোদ্ধা ছিলেন এবং সে সময় কারাবন্দি ও নির্যাতিতও হন। অথচ অভ্যুত্থানোত্তর নয়া বাংলাদেশে তার মতো একজন নেতার ওপর হামলা অত্যন্ত উদ্বেগজনক বলে উল্লেখ করে সংগঠনটি।
বিবৃতির বর্ণনায় বলা হয়, এ হামলা আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রেরই অংশ। এতে জাতীয় পার্টি ও সামরিক প্রতিষ্ঠানের ভূমিকার কঠোর সমালোচনা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জানায়, আওয়ামী লীগ এবং এর দোসররা জুলাই-পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতিতে আর কোনোভাবেই প্রাসঙ্গিক নয় এবং প্রাসঙ্গিক হতেও দেওয়া হবে না।
তারা আরো জানায়, পুলিশ সংস্কার কমিশন গঠিত হলেও এখন পর্যন্ত কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়নি। দ্রুত পুলিশ সংস্কারে পদক্ষেপ না নিলে শিগগিরই কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।