চবি প্রতিনিধি || এক নারী শিক্ষার্থীকে হেনস্তা ও মারধরের জেরে স্থানীয়দের সঙ্গে আবারো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিনসহ ২৫ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৬ জনকে গুরুতর অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে।
রবিবার (৩১ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই নম্বর গেটসংলগ্ন এলাকায় ফের এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এখনও ওই এলাকার পরিস্থিতি উত্তপ্ত।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুই নম্বর গেটে আসিফ ভিলা নামক বাসায় কিছু শিক্ষার্থী নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে উদ্ধারের আহ্বান জানান। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের উদ্ধার করতে গেলে স্থানীয়রা বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় স্থানীয়দের সঙ্গে আলোচনা করতে যাওয়া উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিনও আহত হন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মোমিন বলেন, “আমরা আটকে পড়া আসিফ ভিলা থেকে শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করতে গিয়েছিলাম। পরে উদ্ধারের এক পর্যায়ে স্থানীয়রা আমাদের উপর অতর্কিত আক্রমণ করে। এতে প্রায় ২৫ জন আহত হয়েছে।”
গতকাল মধ্যরাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই নম্বর গেইট সংলগ্ন একটি ভবনের ভাড়াটিয়া এক ছাত্রীর সঙ্গে ভবনের নিরাপত্তারক্ষীর বিতণ্ডার জেরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে গ্রামবাসীর সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। দফায় দফায় সংঘর্ষে কমপক্ষে ৬০ জন আহত হন।
শিক্ষার্থীরা জানান, গতকাল রাত সাড়ে ১১টায় ভাড়া বাসায় ফিরতে দেরি হওয়ায় এক নারী শিক্ষার্থীকে ওই বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী হেনস্তা ও মারধর করেন। খবর পেয়ে সহপাঠীরা গিয়ে তাকে ধরার চেষ্টা করলে স্থানীয়রা মাইকিং করে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। বাচামিয়ার দোকানসংলগ্ন এলাকায় শিক্ষার্থীদের ওপর চারদিক থেকে হামলা হয়, পরে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে পুরো দুই নম্বর গেট এলাকা থেকে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়ক পর্যন্ত। পরে বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও মাইকে বিষয়টি জানানো হয়।
হামলাকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির গাড়িবহর ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গাড়িতেও ভাঙচুর চালায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তিন প্লাটুন সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়।
ওই ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগের পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।