নিজস্ব প্রতিবেদক || বিএনপির কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর খোঁজখবর নিতে প্রতিনিধি পাঠিয়েছেন। শুধু তাই নয়, তার জন্য উপহারও পৌঁছে দিয়েছেন।
শনিবার (৩০ আগস্ট) রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের ছতরপুর স্কুল মাঠে আয়োজিত উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ তথ্য জানান হাসনাত আবদুল্লাহ। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার পৈতৃক বাড়ি এই উপজেলার ইসলামপুর গ্রামে অবস্থিত।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, রুমিন ফারহানার সঙ্গে আমাদের কিছু মনোমালিন্য ছিল। তবে আমরা তার এলাকায় আসছি খবর পেয়ে তিনি লোক পাঠিয়ে আমাদের খোঁজখবর নিয়েছেন এবং উপহারও পাঠিয়েছেন। রাজনীতিতে এটি একটি ইতিবাচক বার্তা, যা অবশ্যই স্বাগত জানানো উচিত।
তিনি বলেন, আমরা ২০২৪ পরবর্তী বাংলাদেশে কোনো ধরনের সহিংসতা দেখতে চাই না। ভিন্নমত গণতন্ত্রের শক্তি, আর সহিংসতা গণতন্ত্রের শত্রু। কেউ যদি আক্রোশ প্রকাশ করে, আমরা তার জবাব দেব গণতান্ত্রিকভাবে। আর কেউ ইতিবাচক বার্তা দিলে তা অবশ্যই গ্রহণ করা উচিত।
রুমিন ফারহানার ব্যক্তিগত সহকারী জাকির হোসেন শুভ উপহার পাঠানোর বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, দলীয় কর্মীরা এনসিপি নেতাদের খোঁজখবর নিয়েছেন এবং তাদের জন্য ছানামুখী পাঠানো হয়েছে।
রাজধানীর বিজয়নগরের আসন পুনর্বিন্যাসকে কেন্দ্র করে গত ২৪ আগস্ট প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কার্যালয়ে বিএনপি ও এনসিপির নেতাকর্মীদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। বিএনপি নেত্রী রুমিন ফারহানা অভিযোগ করেন, শুনানির সময় তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। অপরদিকে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতা ও বিজয়নগরের বাসিন্দা মো. আতাউল্লাহ অভিযোগ করেন, রুমিন ফারহানা ও তার সমর্থকদের হাতে তিনি আক্রমণের শিকার হয়েছেন।
ঘটনার পর এনসিপি নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ রুমিন ফারহানাকে বিএনপির ‘আওয়ামী বিষয়ক সম্পাদক’ বলে কটাক্ষ করেন। এর জবাবে রুমিন ফারহানা হাসনাতের কয়েকটি পুরোনো ছবি প্রকাশ করে লেখেন ‘এই সেই ফকিন্নির বাচ্চাটা না’। বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক মহল ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয়। পরে অবশ্য রুমিন ফারহানা স্বীকার করেন, তার ব্যবহৃত অনাকাঙ্ক্ষিত শব্দচয়নে কেউ কষ্ট পেয়ে থাকলে তিনি দুঃখিত।