বিনোদন প্রতিবেদক || ২০২০ সালে ‘মিস আর্থ বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শোবিজ অঙ্গনে যাত্রা শুরু করেন মডেল মেঘনা আলম। শুরু থেকেই আলোচনায় থাকলেও সম্প্রতি নানা বিতর্কের কারণে আবারো সংবাদ শিরোনাম হয়েছেন।
চলতি বছরের ৯ এপ্রিল রাতে রাজধানীর নিজ বাসা থেকে মেঘনাকে আটক করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। এরপর তাকে ৩০ দিন আটক রাখা হয়। চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় মেঘনাকে। তবে ২৮ এপ্রিল জামিনে মুক্তি পান তিনি।
সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসাকে ঘিরে বিভিন্ন সময়ে নানা মন্তব্য করে আলোচিত হয়েছেন মেঘনা। এবার নিজের ফেসবুক পোস্টে নিজেকে ‘কুমারী’ দাবি করে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন তিনি।
ফেসবুক পোস্টে মেঘনা লেখেন, “আল-কোরআন আল্লাহর সর্বশেষ বাণী। আজ আদালতে আমি শপথ করেছি, সেই কোরআন হাতে নিয়ে যেটি আমাকে উপহার দিয়েছিলেন ঈসা, আরেকটি যেটি সৌদি বাদশাহ কর্তৃক মুদ্রিত ও দূতাবাসের সরকারি অনুষ্ঠানে বিতরণকৃত।”
কারো সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন না করার কথা জানিয়ে মেঘনা লেখেন, “আমি আল-কোরআনের উপর হাত রেখে ঘোষণা করেছি, আমার জীবনে আমি কখনো কারো সঙ্গে যৌন সম্পর্ক করিনি, এমনকি ঈসার সাথেও নয়। আমাকে চরিত্রহীন বা লম্পট প্রমাণের যেকোনো অপচেষ্টা বন্ধ হোক।”
নারীদের প্রতি সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মেঘনা। তার ভাষায়, “আমাদের সমাজে মানুষ প্রায়ই ভুল করে। দাড়ি-জুব্বা-বোরখা দেখলেই মনে করে সেটিই পবিত্রতার প্রতীক। আর কোনো নারী খোলামেলা পোশাক পরলেই ধরে নেয় সে সহজলভ্য। কিন্তু বাহ্যিক চেহারা দিয়ে অন্তর বোঝা যায় না।”
নিজেকে কুমারী দাবি করে মেঘনা লেখেন, “আমি কোরআনের কসম খেয়ে বলছি, আমি কখনো সচেতন অবস্থায় কারো সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করিনি। আজ পর্যন্ত আমি কুমারী। শুধু ক্ষমতাধর কারো সঙ্গে বিয়ে ভেঙে দেওয়ার কারণে আমাকে মিথ্যা মামলার মাধ্যমে হয়রানি করা হচ্ছে। ইতিহাসে বারবার নারীকেই অগ্নিপরীক্ষা দিতে হয়, অথচ পুরুষ থেকে যায় প্রশ্নহীন, নিরাপদ ও অব্যাহতি-প্রাপ্ত।”