নিজস্ব প্রতিবেদক || ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের আগানগর এলাকায় কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় ভুক্তভোগীর ভাড়া বাসার কেয়ারটেকার মো. সাঈদ মোল্লাকে (৬০) আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
দণ্ডের পাশাপাশি তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়াও আসামির স্থাবর/অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রয় করে ক্ষতিগ্রস্ত ভিকটিমকে দিতে ঢাকার জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেন আদালত।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান এই রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর তাকে আবারও সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।
সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর মো. এরশাদ আলম (জর্জ) এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ভিকটিম দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার আগানগর এলাকায় এক বাড়িতে পরিবারসহ ভাড়া থাকতো। ওই বাড়িতে আসামি মো. সাঈদ মোল্লা কেয়ারটেকার হিসেবে কাজ করতো। আসামি সাঈদ মোল্লা প্রায়ই ভিকটিমকে কুপ্রস্তাব দিতো। ২০২১ সালের ২ আগস্ট ভিকটিম তার ছোট ভাইকে খোঁজার জন্য বাসার নিচে যায়। এসময় আসামি ভিকটিমকে কৌশলে বাসার ছাদে নিয়ে ধর্ষণ করে।
ধর্ষণের পর আসামি সাঈদ মোল্লা ঘটনা কাউকে বললে ভিকটিমকে হত্যার হুমকি দেয়। ভিকটিম হত্যার ভয়ে ঘটনা কাউকে বলে না। পরে একই বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর পুনরায় ধর্ষণ করে। ভুক্তভোগী তখন কান্নাকাটি ও চিৎকার করলে আসামি দ্রুত পালিয়ে যায়। ওই ঘটনায় একই বছর ভিকটিমের মা বাদী হয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
২০২২ সালের ৩১ আগস্ট দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক মো. আলী জিন্নাহ আসামির সাঈদ মোল্লাকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলাটির বিচার চলাকালে আটজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন ট্রাইব্যুনাল।