খেলাধুলা ডেস্ক || ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর স্বপ্নের ষষ্ঠ বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু হলো একেবারেই তার স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে। তার জোড়া গোলের দাপটে আর্মেনিয়াকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে দারুণ সূচনা করলো পর্তুগাল।
শনিবারের দিবাগত রাতে করা জোড়া গোল রোনালদোকে আরও একবার নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিল। পুরুষদের আন্তর্জাতিক ফুটবলে সর্বোচ্চ গোলদাতার রেকর্ডে এখন তার ঝুলিতে ১৪০ গোল। একই সঙ্গে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে তার গোলসংখ্যা দাঁড়াল ৩৮ এ। লিওনেল মেসির চেয়ে ২টি বেশি এবং সর্বকালের শীর্ষ গোলদাতা গুয়াতেমালার কার্লোস রুইজের থেকে মাত্র ১টি কম।
ম্যাচ শেষে ইনস্টাগ্রামে লিখলেন রোনালদো, “প্রথম ধাপ সম্পন্ন।”
৪০ বছর বয়সেও থেমে নেই এই কিংবদন্তি। সম্প্রতি সৌদি আরবের আল-নাসর ক্লাবের সঙ্গে নতুন চুক্তি করেছেন তিনি। গত গ্রীষ্মে জাতীয় দলকে জিতিয়েছেন ইউরোপের নেশনস লিগ শিরোপা। কিন্তু বিশ্বকাপের মঞ্চেই তার বড় আক্ষেপ। যেটা তার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মেসি পূরণ করেছেন ২০২২ সালে আর্জেন্টিনাকে নিয়ে।
আগামী বছর যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোয় বসছে ফুটবলের সবচেয়ে বড় আসর। সম্ভবত এটিই হবে রোনালদোর শেষ সুযোগ, যেখানে তিনি ও মেসি একসাথে ষষ্ঠ বিশ্বকাপে নাম লেখাবেন। ইতিহাসে যা আর কারও নেই।
ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ী রোনালদো এদিন গোল পেয়েছেন দুই অর্ধে। প্রথমে পেদ্রো নেতোর ক্রস থেকে সহজ ট্যাপ-ইনে। আর দ্বিতীয়টি একেবারে তার স্বর্ণযুগের মতো প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে বজ্রগতির শট। গোলের পর চিরচেনা ভঙ্গিতে দু’হাত ছড়িয়ে উদযাপন করেছেন তিনি।
জোয়াও ফেলিক্সও জ্বলে ওঠেন, করেন দুই গোল এবং ম্যাচের ১০ মিনিটেই প্রথম গোলটি তার পা থেকেই আসে। এছাড়া জোয়াও ক্যানসেলোও স্কোরশিটে নাম তোলেন।
ম্যাচ শেষে মিডফিল্ডার ভিটিনহা বলেন, “এটা প্রায় নিখুঁত এক পারফরম্যান্স ছিল।” মঙ্গলবার দিবাগত রাতে দ্বিতীয় ম্যাচে ঘরের মাঠে হাঙ্গেরির মুখোমুখি হবে রোনালদোর পর্তুগাল।