নিজস্ব প্রতিবেদক || ১৬ বছর আগে ঢাকার কামরাঙ্গীরচরে মালিকের আড়াই বছরের ছেলেকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবির মামলায় সাদ্দাম হোসেন ওরফে মুকুলকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান এ রায় দেন।
সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর এরশাদ আলম (জর্জ) জানান, যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি দণ্ডিত সাদ্দামকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক বছর বিনাশ্রম কারাভোগ করতে হবে।
রায় ঘোষণার সময় সাদ্দাম ট্রাইব্যুনালে হাজির ছিলেন। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান প্রসিকিউটর।
মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, সাদ্দাম কামরাঙ্গীরচরে আবুল খায়েরের প্লাস্টিক কারাখানায় পাঁচ হাজার টাকা বেতনে চাকরি করতো। ২০০৯ সালের ১৫ অগাস্ট সাদ্দাম মালিকের আড়াই বছরের শিশুপুত্র আরিফকে অপহরণ করে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর নিয়ে যায়। এ ঘটনায় আবুল খায়ের কামরাঙ্গীরচর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। ওইদিন রাত ৮টা থেকে ৯টার দিকে সাদ্দাম মোবাইলে ফোন করে আরিফকে ফিরে পেতে ৬০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। পরদিন ১৬ অগাস্ট আবুল খায়ের থানায় মামলা করেন। মামলা দায়েরের পর কামরাঙ্গীরচর থানা পুলিশ মির্জাপুরের গোড়াইল সৈয়দপুর থেকে শিশু আরিফকে উদ্ধার করেন এবং সাদ্দামকে গ্রেপ্তার করেন। মামলাটি তদন্ত করে কামরাঙ্গীরচর থানার এসআই মাসুম খান ২০০৯ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর সাদ্দামকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। আসামির আত্মপক্ষ শুনানি, যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ট্রাইব্যুনাল আজ সাজার রায় ঘোষণা করেন।