ফরিদপুর প্রতিনিধি || ফরিদপুর-৪ আসনের ভাঙ্গা এলাকায় পূর্বঘোষিত অবরোধ কর্মসূচির তৃতীয় দিনেও থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। গতকাল সোমবার দিনভর ব্যাপক সহিংস ঘটনার পর মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে সড়ক ও মহাসড়কগুলোতে যান চলাচল স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।
এদিকে, যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে স্থানীয় প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
আজ সকালে ভাঙ্গা ইন্টারসেকশন এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ, র্যাব ও আনসার সদস্য মোতায়েন থাকতে দেখা গেছে। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছেন তারা।
স্থানীয়রা জানান, অবরোধের কারণে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা ব্যাপকভাবে ব্যাহত হয়েছে। দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড স্থবির হয়ে পড়ে। আজ পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত থাকায় মানুষজন ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন এবং জরুরি কাজ সারছেন।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান মোল্লা সাংবাদিকদের জানান, জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, “পরিস্থিতি এখন আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। আমরা আশা করছি, আজকের দিনের শেষে পুরোপুরি স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসবে।”
জাতীয় সংসদের আসন পুনর্বিন্যাসের গেজেটে ফরিদপুর-৪ আসন থেকে ভাঙ্গার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নকে ফরিদপুর-২ আসনের সঙ্গে যুক্ত করা হয়। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে গত পাঁচদিন ধরে স্থানীয়রা মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধ করে আন্দোলন করছিলেন। গতকাল সোমবার দুপুরে ভাঙ্গায় উপজেলা পরিষদ ও থানায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছেন আন্দোলনকারীরা।
বিক্ষোভকারীরা উপজেলা পরিষদের ভেতরে প্রবেশ করে বিভিন্ন সরকারি অফিস ভাঙচুর করতে শুরু করেন এবং আগুন ধরিয়ে দেন সেখানে। আন্দোলনকারীরা পরে থানায় হামলা চালিয়ে পুলিশের অন্তত তিনটি গাড়ি এবং কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন। পরে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।