খেলাধুলা ডেস্ক || মার্কাস রাশফোর্ড যেন মনে করিয়ে দিলেন, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড তাকে হারিয়ে কত বড় শূন্যতায় পড়েছে। উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে নিউক্যাসলের মাঠে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে তার দুর্দান্ত জোড়া গোলেই বার্সেলোনা পেল ২-১ গোলের জয়।
২৭ বছর বয়সী ইংলিশ ফরোয়ার্ড, যিনি ধারে খেলছেন বার্সায়, এর আগে ২০২৩ সালের কারাবাও কাপ ফাইনালে নিউক্যাসলের বিপক্ষেই গোল করেছিলেন ইউনাইটেডের জার্সিতে। এবার সেন্ট জেমস পার্কে ৫৮ মিনিটে মাথার চমৎকার শটে প্রথম গোল করে এগিয়ে দেন দলকে। এরপরই দূরপাল্লার এক দুরন্ত শটে দ্বিতীয় গোল করে বসেন ইংল্যান্ড কোচ টমাস টুখেলের চোখের সামনেই।
তবে ম্যাচে নিউক্যাসলও সুযোগ পেয়েছিল। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে দলে ফেরা অ্যান্থনি গর্ডন ও হার্ভি বার্নস বিরতির আগে গোল করতে পারলে গল্পটা অন্য রকমও হতে পারত। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রাশফোর্ডের ম্যাজিকেই ম্যাচের মোড় ঘুরে যায়।
১৯৯৭ সালের বার্সেলোনার বিরুদ্ধে নিউক্যাসলের ঐতিহাসিক ও স্মরণীয় জয়ের এবার আর পুনরাবৃত্তি হলো না। গর্ডন শেষ মুহূর্তে এক গোল করলেও ইউরোপের সেরা মঞ্চে কীভাবে কঠিন শিক্ষা নিতে হয়, তা স্পষ্ট বুঝিয়ে দিল কাতালানরা।
ম্যাচের শুরুটা ছিল দুরন্ত। দর্শকে ভরা স্টেডিয়ামে গর্জন উঠল বারবার। ছয় মিনিটে অ্যান্থনি এলাঙ্গার ক্রস থেকে একেবারে সামনে বল পেয়েও মিস করেন গর্ডন। অন্যদিকে বার্নসও সুযোগ নষ্ট করেন।
বার্সা অবশ্য সতর্কবার্তা দিয়েছিল প্রথমার্ধেই। কিয়েরান ট্রিপিয়ারকে কাটিয়ে একক প্রচেষ্টায় এগিয়ে গিয়ে শট নেন রাশফোর্ড, যদিও সেটা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ধীরে ধীরে মাঝমাঠে পেদ্রি আর ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ং খেলা দখলে নিলে বার্সেলোনাও আক্রমণে ধার পায়।
১৮ মিনিটে রাফিনহার ক্রসে লেভানডোভস্কি শট নিতে যাচ্ছিলেন, কিন্তু নিউক্যাসল গোলরক্ষক নিক পোপ কোনোমতে ঠেকিয়ে দেন। উল্টো দিকে জোয়ান গার্সিয়াকেও রক্ষা করতে হয় বার্সাকে, যখন বার্নসের শট ঠেকান তিনি।
প্রথমার্ধ গোলশূন্য কাটলেও বিরতির পরই ম্যাচে উত্তেজনা বাড়ে। ৪৮ মিনিটে এলাঙ্গার কর্নার থেকে জোয়েলিন্তন হেডে গোল করতে পারতেন। কিন্তু অল্পের জন্য মিস হয়। কিছুক্ষণ পর রাশফোর্ডের শটও শরীরে লেগে প্রতিহত হয়।
অবশেষে ৫৮ মিনিটে কুন্দের দারুণ ক্রস থেকে হেডে গোল করে জাল ভেদ করেন রাশফোর্ড। এরপর মাত্র নয় মিনিট পর তার অসাধারণ দূরপাল্লার শটে জালের জড়ালে বার্সার লিড দ্বিগুণ হয়।
শেষ দিকে নিউক্যাসল মরিয়া হয়ে আক্রমণে ঝাঁপিয়ে পড়ে। গার্সিয়া একবার গুইমারাইশের শট রুখলেও শেষ মিনিটে গর্ডনের গোলে ব্যবধান কমে যায়। তবে ততক্ষণে জয় নিশ্চিত হয়ে গেছে বার্সেলোনার।