স্বাস্থ্য ডেস্ক || শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা ধরে রাখার জন্য চিকিৎসকেরা পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমানোর পরামর্শ দেন। সাধারণত একটানা সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমানো স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। তবে টানা নয় ঘণ্টা ঘুমানো মোটেও ভালো নয়।
কম ঘুম স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এটি হৃদরোগ, ডিপ্রেশন এবং দুর্বল রোগ প্রতিরোধের মতো সমস্যাগুলো বাড়ায়। কিন্তু জানেন কি, প্রতিদিন ৯ ঘণ্টার বেশি ঘুমানোর অভ্যাস, কম ঘুমানোর চেয়েও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। এই অভ্যাসের ফলে বাড়বে রোগ এবং মৃত্যুর ঝুঁকি!
স্লিপ হেলথ ফাউন্ডেশন এর তথ্য, ‘‘প্রাপ্তবয়স্কদের ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত। এর চেয়ে কম ঘুম ক্লান্তি, খিটখিটে মেজাজ এবং মনোযোগের অভাব তৈরি করে । এমনটা চলতে থাকলে বাড়ে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস এবং অকাল মৃত্যুর ঝুঁকি ।’’
ওকলাহোমা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক এক গবেষণায় ঘুমের ধরন এবং সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে সংযোগ অনুসন্ধান করা হয়েছে। সেই গবেষণায় যুক্ত করা হয়েছে আরও ৭৯টি গবেষণার ফলাফলও। সবকিছু বিশ্লেষণ করে একটি সিদ্ধান্তে আসা হয়।
গবেষকরা দেখেন, যারা রাতে সাত ঘণ্টার কম ঘুমায়, তাদের মৃত্যুর ঝুঁকি বেশি। সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমায় যারা, তাদের তুলনায় এদের মৃত্যুর ঝুঁকি ১৪% বেশি বলে দাবি গবেষকদের।
গবেষকরা দেখেছেন- যারা রাতে নয় ঘন্টার বেশি ঘুমান তাদের মৃত্যুর ঝুঁকি সাত থেকে আট ঘন্টা ঘুমানো লোকদের তুলনায় ৩৪% বেশি। অতীতের ৭৪টি গবেষণার ফলাফলকে একত্রিত করে এই গবেষণা করা হয়েছে।
এই গবেষণায় অতিরিক্ত ঘুমকে হতাশা, দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা, ওজন বৃদ্ধি এবং হজামের সমস্যার সঙ্গে কতটুকু সম্পৃক্ত তাও দেখা হয়েছে। তবে কখনওই বলা হয়নি অতিরিক্ত ঘুম প্রাথমিক ভাবে কোনো অসুখ বা মৃত্যুর কারণ।
গবেষণা বলছে- অনেক সময় মানুষ কোনো অসুখ বা ওষুধের প্রভাবে বেশি ঘুমায়। যেমন—ডিপ্রেশন, স্লিপ অ্যাপনিয়া বা ক্লান্তিকর রোগের ফলে শরীরে বেশি বিশ্রামের প্রয়োজন হয়। এছাড়াও, ধূমপান, স্থুলতা বা অলস জীবনযাত্রা অতিরিক্ত ঘুম এবং স্বাস্থ্যের অবনতি—উভয়ের জন্যই দায়ী হতে পারে।