আন্তর্জাতিক ডেস্ক || ফিলিস্তিনকে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে বিশ্বের আরো ছয়টি দেশ। নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বার্ষিক অধিবেশনের আগে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ফ্রান্সসহ ৬টি দেশের নেতারা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মধ্যপ্রাচ্যের আল আকসা অঞ্চলে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান (টু স্টেট সলিউশন) নীতির বাস্তবায়ন এবং ফিলিস্তিনকে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে ফ্রান্স ও সৌদি আরবের উদ্যোগে সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে বৈশ্বিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েল ব্যতীত জাতিসংঘের অধিকাংশ সদস্যরাষ্ট্র এই সম্মেলনে শামিল হয়েছিলেন। সম্মেলনে ফ্রান্সের পাশাপাশি বেলজিয়াম, অ্যান্ডোরা, লুক্সেমবার্গ, মাল্টা এবং মোনাকো জানিয়েছে, তারা একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিচ্ছে।
অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, পর্তুগাল এবং যুক্তরাজ্যের নেতারা, যারা একদিন আগে আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন, তারাও সভায় বক্তব্য রাখেন।
ফিলিস্তিন ও দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান বিষয়ক এই বৈশ্বিক সম্মেলনের আয়োজক ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ বলেন, “আমরা এখানে সমবেত হয়েছি কারণ এখন সময় এসেছে। দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের সম্ভাবনা রক্ষা করার জন্য আমাদের ক্ষমতায় যা কিছু আছে তা করা আমাদের দায়িত্ব।”
তিনি বলেন, “আজ আমি ঘোষণা করছি- ফ্রান্স ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিচ্ছে”। তিনি বলেন, “এটাই একমাত্র সমাধান, যা ইসরায়েলকে শান্তিতে বসবাসের সুযোগ করে দেবে।”
মাখোঁ আরো বলেন, “গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যা অব্যাহত থাকায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে”। তিনি বলেন, “যুদ্ধ বন্ধ করার সময় এসেছে। গাজায় বোমা হামলা, হত্যাযজ্ঞ ও মানুষের দুর্দশা- কোনো কিছুই এই যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার যৌক্তিকতা তৈরি করে না।”
তিনি ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া দেশগুলোর প্রশংসা করেন। ফরাসি প্রেসিডেন্টের মতে, স্বীকৃতি ‘কার্যকর আলোচনার পথ প্রশস্ত করবে’ এবং তিনি আরব ও মুসলিম রাষ্ট্রগুলোকে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে আহ্বান জানান।