দেহঘড়ি ডেস্ক || হার্টে পর্যাপ্ত রক্ত সরবরাহ ব্যহত হলে এর কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালিত হয় না। হার্টে রক্ত সরবরাহকারী রক্তনালী যদি কোনো কারণে বন্ধ হয়ে যায় তাহলে হার্টে রক্ত পৌঁছাতে পারে না। হার্টের মাংসপেশি অক্সিজেনশূন্য হয়ে পড়ে। হার্ট অ্যাটাকের বেশ কিছু উপসর্গ রয়েছে, যেগুলো কোনো একটি উপসর্গ তীব্র আকারে দেখা দিলে রোগীর মৃত্যুর ঝুঁকিও রয়েছে। ব্যক্তিভেদে হার্ট অ্যাটাকের উপসর্গগুলো আলাদা হতে পারে। সাধারণ উপসর্গগুলো জেনে নিন।
বুকের মাঝ বরাবর ব্যথা
হার্ট অ্যাটাকের একটি লক্ষণ হলো বুকের মাঝ বরাবর ব্যথা অনুভূত হওয়া। আক্রান্ত ব্যক্তির মনে হতে পারে বুকের মধ্যে কেউ ছুরি চালাচ্ছে বা বুকের মধ্যে হাতি পাড়া দিচ্ছে এবং বুকের হাড় ভেঙ্গে যাচ্ছে। বুকে তীব্র ব্যথার সাথে সাথে যদি চরম অস্বস্তিবোধ থাকে তাহলে দেরি না করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
হাত ও ঘাড় ব্যথা
হার্টে পর্যাপ্ত রক্ত সরবরাহে বাঁধা তৈরি হয়ে বাম হাত ও ঘাড়ের দিকে ছড়িয়ে পড়বে। যাকে বলা হয় ‘ব্যথাটা রেডিয়েট’ করা। ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশনের অধ্যাপক ডেভিড নিউবি বলেন, ‘‘যদি ব্যক্তির বাম হাতে ব্যথা নিচের দিকে নামতে থাকে এবং সেই সাথে গলায় চেপে ধরা ভাব থাকে তাহলে সেটি হার্টের সমস্যার লক্ষণ।’’
পেটে তীব্র ব্যথা
আক্রান্ত ব্যক্তির বুকের প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করতে পারেন। এই ব্যথাকে অনেকে গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা মনে করতে পারেন। সেক্ষেত্রে হার্ট অ্যাটাকের ব্যথা গ্যাস্ট্রিকের ব্যথার চেয়ে তীব্র হয়ে থাকে। ব্যথার সঙ্গে প্রচণ্ড জ্বালাপোড়াও থাকবে।
কাশি ও শ্বাসকষ্ট
হার্ট অ্যাটাকের গুরুত্বর উপসর্গ হলো কাশি ও শ্বাসকষ্ট। হার্ট ফেইলর হলে ফুসফুসে পানি আসে। এর কারণে রোগীর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। এই অবস্থা দেখা দিলে হার্ট আস্তে আস্তে দুর্বল হয়ে পড়ে, ঠিকমতো কাজ করতে পারে না। তখন সারা দেহে পানি এসে পড়ে।
অতিরিক্ত ঘাম
আক্রান্ত ব্যক্তির শরীর অস্থির হয়ে পড়ে, বুকে ব্যথা হয়, তাই তখন অস্বাভাবিক বা প্রচণ্ড রকমের ঘাম হয়। তখন বুকে ব্যথার সাথে সাথে ঘাম শুরু হয়, অস্থির লাগে।
অজ্ঞান হয়ে যাওয়া
হার্ট অ্যাটাক হলে বুকের ব্যথা অনেক সময় এতটা তীব্র হতে পারে যে, এতে আক্রান্ত রোগী অজ্ঞান হয়ে যেতে পারেন।
বমি বমি ভাব ও বমি
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশন-সিডিসি’র তথ্য,‘‘ আক্রান্ত রোগী কোনো কারণ ছাড়াই বমি শুরু করতে পারেন। এবং কারণ ছাড়াই ক্লান্ত হতে পারেন, এর সঙ্গে বুকে ব্যথা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে নিতে হবে।’’
সূত্র: বিবিসি