1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : Golam Saroar : Golam Saroar
বন্ধুকে ভিডিও কলে রেখে নোবিপ্রবির শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা - দৈনিক প্রথম ডাক
সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:৫০ পূর্বাহ্ন

বন্ধুকে ভিডিও কলে রেখে নোবিপ্রবির শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

নোয়াখালী প্রতিনিধি
  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ১১ বার দেখা হয়েছে
এই বাড়িতেই মেস ভাড়া থাকতেন ফাহিমা সুলতানা মারিয়া

নোয়াখালী প্রতিনিধি || নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) এক ছাত্রী ভিডিও কলে বন্ধুকে রেখেই আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।

নিহত ওই শিক্ষার্থীর নাম ফাহিমা সুলতানা মারিয়া (২৪)। তিনি নোবিপ্রবির ফলিত গণিত বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে নোয়াখালীর জেলা শহর মাইজদী রশিদ কলোনির একটি ভাড়া বাসা থেকে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

ফাহিমার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায়। পড়াশোনার সুবাদে তিনি রশিদ কলোনির হোসেন টাওয়ারের দ্বিতীয় তলায় সহপাঠীদের সঙ্গে ভাড়া বাসায় থাকতেন। তবে দুর্ঘটনার সময় তিনি একাই ছিলেন বাসায়।

পুলিশ সূত্র জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। রাত নয়টার দিকে বাসায় গিয়ে দরজা ভাঙলে জানালার সঙ্গে ওড়না পেঁচানো অবস্থায় ফাহিমার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়।

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক সহপাঠীরা জানান, পূজার ছুটিতে বেশিরভাগ শিক্ষার্থী বাড়ি গেলেও ফাহিমা মেসে ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে তাদের সঙ্গে তার শেষবার কথা হয়। শুক্রবার বিকেলে একটি অনলাইন ক্লাসে অংশ নেওয়ার কথা থাকলেও অংশ নেয়নি এবং ফোনেও সাড়া দেয়নি। অসুস্থতার কারণে সে নিয়মিত ঘুমের ওষুধ সেবন করতেন। প্রথমে সহপাঠীরা ভেবেছিলেন তিনি ঘুমাচ্ছেন। পরে রাতে তার মৃত্যুর খবর পান।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সকালে বাসায় যাওয়ার কথা বললে ফাহিমা চিকিৎসার জন্য ঢাকায় যাওয়ার কথা বলেন। বিকেল থেকে তার ফোনে বারবার কল করেও সাড়া না পাওয়ায় পরিবারের দুশ্চিন্তা বাড়ে। পরে রাত ৯টার দিকে কয়েকজন বন্ধু বাসায় গিয়ে দরজা ভেঙে তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর জামাল উদ্দিন বলেন, “প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বিকেল চারটার দিকে ফাহিমা মেসেঞ্জারে এক বন্ধুর সঙ্গে ভিডিও কলে থাকা অবস্থায় গলায় ফাঁস দেন। তার মোবাইল ফোন থেকেও এমন আলামত মিলেছে।”

সুধারাম মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মনির হোসেন বলেন, “আমরা গিয়ে তাকে জানালায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় পাই। ধারণা করছি, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। ময়নাতদন্তের পর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।”

সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, “ঘটনার সময় তার মুঠোফোনে ভিডিও কল চালু ছিল। প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যাই মনে হচ্ছে। তবে থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ দায়ের না করে ফাহিমার পরিবার মরদেহ দাফনের উদ্দেশ্যে নিজ গ্রামে নিয়ে গেছে।”

তিনি আরো বলেন, “যে বন্ধুকে ভিডিও কলে রেখে আত্মহত্যা করেছিলো, তাকে সনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।”

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed By: SISA IT