আন্তর্জাতিক ডেস্ক || ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব জাভা প্রদেশের সিদোয়ারজো এলাকায় একটি ইসলামি বোর্ডিং স্কুল ধসে অন্তত তিন শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন কয়েক ডজন শিক্ষার্থী। এখনও পর্যন্ত ধ্বংসস্তূপের নিচে ৩৮ জন শিক্ষার্থী চাপা পড়ে রয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আল জাজিরার খবরে বলা হয়, সোমবার বিকেলে আল খোজিনি ইসলামিক বোর্ডিং স্কুলের নামাজঘরের ভবন হঠাৎ ভেঙে পড়লে এই দুর্ঘটনা ঘটে। তখন সপ্তম থেকে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা আসরের নামাজ পড়ছিল।
ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, উদ্ধারকাজ অব্যাহত রয়েছে। রাতভর চলা তল্লাশির পর মঙ্গলবার সকালে ১১ জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। দুর্ঘটনার সময় ৯১ জন শিক্ষার্থী বেরিয়ে যেতে সক্ষম হোন। মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতের সংখ্যা প্রায় ৭৭।
সংস্থাটি জানিয়েছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে আরো অনেকের দেহ দেখা গেছে। ফলে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে।
প্রায় কয়েকশো উদ্ধারকর্মী, পুলিশ ও সেনা সদস্য এই অভিযানে অংশ নিয়েছেন। বিপজ্জনক পরিস্থিতির কারণে ভারী যন্ত্র ব্যবহার করা হয়নি। এর বদলে উদ্ধারকর্মীরা অক্সিজেন ও পানি পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছেন ভেতরে আটকে থাকা শিক্ষার্থীদের কাছে।
এক উদ্ধারকর্মী নানাং সিগিত বলেন, “আমরা ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়াদের বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করছি। কয়েকটি মরদেহ দেখা গেছে, কিন্তু আমাদের অগ্রাধিকার জীবিতদের উদ্ধার।”
প্রাদেশিক পুলিশের বরাত দিয়ে দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, যে পুরোনো ভবনটিতে শিক্ষার্থীরা নামাজ পড়ছিল সেটি মূলত দুই তলা ছিল। তবে বেআইনিভাবে আরো দুটি তলা যোগ করার কাজ চলছিল। সেই বাড়তি কংক্রিটের চাপ সামলাতে না পেরে ভবনটি ভেঙে পড়ে।
এই ঘটনায় স্কুল প্রশাসনের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্প্রসারণের অভিযোগে তদন্ত শুরু হয়েছে।
এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে ইন্দোনেশিয়ায় এটি দ্বিতীয় ভবন ধসের ঘটনা। কর্মকর্তাদের মতে, এর আগে ৩ সেপ্টেম্বর পশ্চিম জাভার বোগোর জেলায় একটি ইসলামিক কমিউনিটি হল ধসে কমপক্ষে তিনজন নিহত এবং কয়েক ডজন আহত হন।