নিউজ ডেস্ক || রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে জাতিসংঘে উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলন হবে আজ। মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫) জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সাধারণ পরিষদ কক্ষে অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস উদ্বোধনী অধিবেশনে বক্তৃতা দেবেন।
সম্মেলনে কমপক্ষে ৭৫টি দেশ ও সংস্থার প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করবেন। স্থানীয় সময় সকাল ১০টা (বাংলাদেশ সময় রাত ৮টা) থেকে সম্মেলন শুরু হবে। প্রেস উইংয়ের এক বার্তায় বলা হয়, সম্মেলনের লক্ষ্য হলো সামগ্রিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা এবং মানবাধিকারসহ সংকটের মূল কারণগুলো মোকাবিলা করা।
এতে আরো বলা হয়, সম্মেলনে সংকট পর্যালোচনা এবং বাস্তব পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময়ের মাধ্যমে একটি সর্বাত্মক, নতুনধারা, কার্যকর ও সময়সীমাবদ্ধ পরিকল্পনা প্রস্তাবের উদ্যোগ নেওয়া হবে, যা টেকসই সমাধান নিশ্চিত করবে। এর মধ্যে অন্যতম অগ্রাধিকার হলো রোহিঙ্গা মুসলিমদের মিয়ানমারে স্বেচ্ছায়, নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করা।
সম্মেলনের আগে সোমবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তাঁর হোটেলে পৃথক বৈঠক করেছেন জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপো গ্রান্ডি, মিয়ানমারবিষয়ক জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ দূত জুলি বিশপ এবং ইউনিসেফ নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল। তারা সংকট সংক্রান্ত নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
২০১৭ সালে সীমান্তচৌকিতে ‘রোহিঙ্গা জঙ্গিদের’ হামলার অজুহাত তুলে গণহত্যা শুরু করে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী। তখন প্রাণ বাঁচাতে লাখ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। পরেও অনেকে বাংলাদেশে এসেছে। আগে থেকে অনেক রোহিঙ্গা ছিল। সব মিলিয়ে এখন কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি আশ্রয়শিবিরে নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা ১৪ লাখ ছাড়িয়েছে। নিবন্ধিতদের বাইরেও রোহিঙ্গা রয়েছে।
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের আর নিজ দেশে ফেরানো যায়নি। দুবার দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়েছিল। তবে প্রত্যাবাসন শুরু করা যায়নি। বরং গত দেড় বছরে নতুন করে এসেছে আরো দেড় লক্ষাধিক রোহিঙ্গা।