তানভীর আহমেদ || ঢাকায় সর্বোচ্চ ২০৬ মিলিমিটার বৃষ্টির রেকর্ড করা হয়েছে। ভারী বৃষ্টির কারণে বিভিন্ন সড়কে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। এতে বিপাকে পড়ে সাধারণ মানুষ।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা থেকে বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ২০৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এটি এই ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত। এছাড়া, চলতি বর্ষা মৌসুমে ঢাকায় এটি সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড।
বুধবার (১ অক্টোবর) দুপুরে আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ ড. আবুল কালাম মল্লিক বলেন, “মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে আজ বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ৬ ঘণ্টায় ১৩২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এটি এই সময়ে দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টি। আর ২৪ ঘণ্টায় হয়েছে ২০৬ মিলিমিটার।”
তিনি বলেন, “এই মৌসুমে ঢাকায় একদিনে এতো বৃষ্টি আর হয়নি। এছাড়া, চলতি মৌসুমে একদিন সর্বোচ্চ ৪৩২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে সিলেটে।”
ভারী বৃষ্টিপাতের আভাস দিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, দেশের আট বিভাগে ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে। এর প্রভাবে ভূমিধ্বস ও জলাবদ্ধতার সম্ভাবনাও রয়েছে।
ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কবার্তায় বলা হয়, পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত সুস্পষ্ট লঘুচাপ ও সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে আজ বুধবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী (৪৪-৮৮ মিলিমিটার থেকে অতিভারী (১৮৮ মিলিমিটার) বৃষ্টি হতে পারে।
সতর্কবার্তায় আরো বলা হয়েছে, ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধ্বসের সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সঙ্গে ভারী বর্ষণজনিত কারণে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীর কোথাও কোথাও অস্থায়ীভাবে জলাবদ্ধতা তৈরি হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর অপর এক বার্তায় জানায়, পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত সুস্পষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় বায়ু চাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। এ অবস্থায় দেশের সব সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।
সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, সুস্পষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের ওপর দিয়ে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিসহ দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।