স্বাস্থ্য ডেস্ক || স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের একটি বড় অংশ হলো সালাদ। আর সালাদের একটি প্রধান উপাদান হলো শসা। কখনও ভেবে দেখেছেন কী শসাকে অবশ্যই সালাদ হিসেবে কেন খাওয়া হয়? শসার উপকারিতা বহুবিধ, যার মধ্যে রয়েছে এটি পানি সমৃদ্ধ এবং হাইড্রেশন বজায় রাখার জন্য উপযোগী। শসার পুষ্টিগুণ বেশি, এছাড়াও এতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন এবং খনিজ রয়েছে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো রোগের চিকিৎসার জন্য দুর্দান্ত এবং ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রেও সাহায্য করে। শসাতে ক্যালোরির পরিমাণ খুবই কম এবং এটি আপনাকে ওজন কমাতেও সাহায্য করতে পারে।
পুষ্টিবিদরা বলেন, ‘‘ একটি শসাতে ৯৫ শতাংশ পানি থাকে, এতে প্রোটিন পাওয়া যায় ০.৬৪ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট ৩.৭৮ গ্রাম, ফ্যাট ০.১১ গ্রাম, ডায়েটারি ফাইবার ০.৬২ গ্রাম, মনোসাক্যারাইড ১.৭০ গ্রাম।’’
হৃদ্যন্ত্র ভালো রাখে
শসাতে থাকা খাদ্য উপাদান শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, রক্ত জমাট বাঁধা এবং রক্ত প্রবাহের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। এর মাধ্যমে হৃদ্যন্ত্রের সুস্থতা রক্ষা করে।
চোখের জ্যোতি বাড়াতে পারে
শসাতে প্রচুর পরিমাণ থাকায় চোখের ছানি পড়া ঠেকাতে কাজ করে। এ ছাড়া চোখের পাতায় ব্যবহার করলে ময়লা অপসারণ করতে ও জ্যোতি বাড়াতে কাজ করে।
হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা
শসাতে প্রচুর ভিটামিন বি থাকার কারণে ঘুম ভালো হয়, মাথা ধরা কমে। এবং হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা হয। এতে থাকা খনিজ সিলিকা চুল ও নখকে সতেজ ও শক্তিশালী করে তোলে।
ইউরিক অ্যাসিড কমায়
প্রচুর পরিমাণ সিলিকা থাকায় শরীরে জমে থাকা ইউরিক অ্যাসিড কমাতে সাহায্য করে। এতে বাতের ব্যথা কমে। বিশেষত গেঁটে বাতের রোগীরা উপকার পান।
মাথাব্যথা কমায়
শসাতে প্রচুর ভিটামিন বি থাকার কারণে ঘুম ভালো হয়, মাথা ধরা কম হয়।
মানসিক চাপ কমায়
শসাতে রয়েছে ভিটামিন বি ১, বি ৫ এবং বি ৭। যা উদ্বেগ ও মানাসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।
শসা ত্বকের আর্দ্রতা রক্ষা করে
শসায় উচ্চমাত্রায় পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও সিলিকন আছে, যা ত্বকের পরিচর্যায় বিশেষ ভূমিকা রাখে। মলিনতা ও শুষ্কতা দূর করে ত্বককে সতেজ রাখতে সাহায্য করে। এর ভিটামিন বি, নায়াসিন, রিবোফ্লোবিন, ভিটামিন সি এবং জিংক ত্বকের উজ্জ্বলতা রক্ষা করতে সাহায্য করে।
উল্লেখ্য, দিনে এক বা দুইটির বেশি শসা খাওয়া উচিত নয়। কারণ অতিরিক্ত শসা খেলে বদহজম বা গ্যাসের সমস্যা হতে পারে। ভারী খাবার খাওয়ার সময় বা পরে শসা খাওয়া ভালো। রাতে এবং খালি পেটে শসা খেলে অনেকের সমস্যা হয়, তাই সকালে বা দুপুরে খেলে ভালো।
সূত্র: হেলথ শর্টস