নিজস্ব প্রতিবেদক || শারদীয় দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলে টানা চার দিনের ছুটি শেষে আজ রবিবার (৫ অক্টোবর) সচিবালয়ে স্বাভাবিক দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিতে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে পেয়েছে সচিবালয়।
রবিবার সকাল থেকেই বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মকর্তারা সময়মতো কর্মস্থলে উপস্থিত হয়ে নিয়মিত কাজ শুরু করেছেন।
ছুটি শেষে প্রথম কর্মদিবস হলেও সচিবালয়ে ছিল না কোনো শৈথিল্য বা অলসতা। অনেক কর্মকর্তাই সময়ের আগেই অফিসে পৌঁছান, কেউ কেউ ছুটির সময়ে জমে থাকা কাজ দ্রুত নিষ্পত্তির উদ্যোগ নেন।
সচিবালয়ে একাধিক দপ্তর ঘুরে দেখা গেছে, চায়ের কাপে আড্ডার বদলে কর্মকর্তারা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন নথিপত্র দেখে, মিটিংয়ের প্রস্তুতি নিয়ে। সবার মধ্যেই দায়িত্ব পালনে আন্তরিকতা ও পেশাদারিত্ব দেখা গেছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেছেন, দেশের উন্নয়ন ও জনগণকে সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে আমাদেরকে দায়িত্ব পালন করতে হয়। ছুটি মানে কাজ থেকে বিছিন্ন হয়ে যাওয়া নয়, বরং নতুন উদ্যোমে কাজে ফেরার আগে বিরতি। বিরতি শেষে আজ আমরা পুরোদমে কাজ শুরু করেছি।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তার বলেছেন, দীর্ঘ ছুটির পর কর্মস্থলে ফিরে সহকর্মীদের সঙ্গে দেখা হওয়াটাও ভালো লাগার বিষয়। তবে, তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হলো জনগণের সেবা নিশ্চিত করা। আমরা সেটিই করছি।
মন্ত্রণালয়গুলোর মধ্যে যোগাযোগ, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও অর্থ মন্ত্রণালয়ে দেখা গেছে উল্লেখযোগ্য কর্মতৎপরতা। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পরিকল্পিতভাবে কাজ ভাগ করে ছুটির আগেই প্রস্তুতি নেওয়ায় এখন কাজের গতি বাড়ানো সহজ হয়েছে।
সচিবালয়ে আবারও ফিরে এসেছে ব্যস্ততা, গতি ও গতিশীলতা। জনসেবার মূল কেন্দ্রবিন্দু সচিবালয়ের এই দৃশ্য প্রমাণ করে— ছুটির পরও রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালনে কোনো শৈথিল্য নেই।