নরসিংদী প্রতিনিধি || নরসিংদীতে সড়কে চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করায় অতিরিক্ত সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) শামিম আনোয়ারের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে।
গতকাল শনিবার (৪ অক্টোবর) রাতে শহর পুলিশ ফাঁড়ির এটিএসআই সোহেল পারভেজ বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। এতে পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ২৫-৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
ঘটনার পর রাতেই পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজন চন্দ্র সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, শনিবার (৪ অক্টোবর) সকালে শামিম আনোয়ারের নেতৃত্বে একটি পুলিশ দল নিয়মিত টহল দিচ্ছিল। পৌর শহরের আরশিনগর এলাকায় দুজন ব্যক্তি যানবাহন থেকে টাকা তুলছিল। পুলিশ বিষয়টি জানতে চাইলে এবং হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞার কথা বললে দুই চাঁদাবাজকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এরপর হঠাৎ করে ৩০-৩৫ জনের একটি দল অতর্কিতে এএসপি শামিম আনোয়ারের ওপর হামলা চালায়। তারা তাকে কিল-ঘুষি মারে ও লাঠি দিয়ে আঘাত করে। এতে তিনি গুরুতর আহত হয়ে অচেতন হয়ে পড়েন। এসময় হামলাকারীরা গ্রেপ্তারকৃত দুই চাঁদাবাজকে ছিনিয়ে নেয়। পরে সহকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখান থেকে পরে তাকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়।
অতিরিক্ত সহকারী পুলিশ সুপার শামিম আনোয়ার বলেন, “আরশিনগর এলাকায় দুজন ব্যক্তিকে যানবাহন থেকে টাকা তুলতে দেখে আমি তাদেরকে জিজ্ঞেস করি- কীসের টাকা তুলছেন? যানবাহন থেকে চাঁদা তোলায় তো হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা আছে। তখনই হঠাৎ ৩০-৩৫ জনের মতো লোক এসে আমার ওপর হামলা চালায়। তারা আমাকে ঘিরে ধরে কিল-ঘুষি মারতে থাকে এবং এক পর্যায়ে মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে। এরপর আমার সঙ্গে থাকা পুলিশ সদস্যরা আমাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।”
উল্লেখ্য, সম্প্রতি নরসিংদীর সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ ঘোষণা করেছিলেন এএসপি শামিম আনোয়ার। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি বিভিন্ন স্ট্যাটাসও দিয়েছিলেন এবং নিজের ওপর হামলার আশঙ্কার কথাও জানান।