আন্তর্জাতিক ডেস্ক || মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনের ওপর অতিরিক্ত ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন। বেইজিং যুক্তরাষ্ট্রের শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় বিরল খনিজ (রেয়ার আর্থ) রপ্তানিতে সীমাবদ্ধতা আরোপ করায় তিনি এই ঘোষণা দেন।
শনিবার (১১ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় শুক্রবার রাতে ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া একটি পোস্টে জানান, আগামী মাস থেকে চীন থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে।
পোস্টে ট্রাম্প আরো জানান, যুক্তরাষ্ট্র চীনের ওপর গুরুত্বপূর্ণ সফটওয়্যারের রপ্তানিতেও নিয়ন্ত্রণ আরোপ করবে।
ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের জেরে দুই দেশের মধ্যে আবারো বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ট্রাম্প সরকারের এই পদক্ষেপটি ১ নভেম্বর থেকে কার্যকর হবে। বর্তমানে চীনা পণ্যের ওপর যে শুল্ক ধার্য করা আছে, তার ওপরে এই ১০০ শতাংশ শুল্ক চাপতে চলেছে। অর্থাৎ, চীনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কের হার এখন ১৪০ শতাংশে পৌঁছাতে পারে।
ট্রাম্প এর আগে শুক্রবার সকালে আরেক পোস্টে চীনের বিরল খনিজ রপ্তানির ওপর নতুন নিয়ম জারি করাকে ‘বিশ্বকে বন্দি করার চেষ্টা’ হিসেবে অভিহিত করেন এবং বেইজিংকে ‘অত্যন্ত শত্রুতাপূর্ণ’ বলে মন্তব্য করেন।
এমন পরিস্থিতিতে ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দেন, তিনি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে নির্ধারিত বৈঠক থেকে সরে আসতে পারেন। যদিও পরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, বৈঠক বাতিল করা হয়নি, তবে ‘বৈঠক হবে কি না, তা নিশ্চিত নয়’।
তিনি যোগ করেন, “আমি যাই হোক সেখানে থাকব।”
গাড়ি, স্মার্টফোন এবং অন্য আরও কিছু পণ্য তৈরিতে বিরল খনিজ অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এই উপাদান উৎপাদনে চীনের আধিপত্য রয়েছে। চলতি বছরের শুরুতে ট্রাম্প যখন চীনের ওপর শুল্ক আরোপের হুমকি দেন, তখন বেইজিং তাদের বিরল খনিজ রপ্তানিতে কঠোরতা আরোপ করে। যেসব মার্কিন সংস্থা এ পণ্যের ওপর নির্ভরশীল তারা এতে শঙ্কা প্রকাশ করে। এমনকি গাড়ি নির্মাতা ফোর্ডকে তাদের উৎপাদনই কয়েকদিন বন্ধ রাখতে হয়।
গত বৃহস্পতিবার বিরল খনিজ রপ্তানিতে কঠোরতার পাশাপাশি চীন মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান কোয়ালকমের বিরুদ্ধে একচেটিয়ার ব্যবসার তদন্ত শুরু করেছে। এতে করে আরেকটি চিপ তৈরিকারী প্রতিষ্ঠান কেনার যে প্রক্রিয়া কোয়ালকম চালাচ্ছিল সেটি থমকে যেতে পারে। কোয়ালকম যদিও যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান. কিন্তু তাদের ব্যবসার বড় একটি অংশ চীনে রয়েছে।