1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : Golam Saroar : Golam Saroar
রাকসু নির্বাচন কাল, ভোট দেবেন যেভাবে - দৈনিক প্রথম ডাক
বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:৫০ অপরাহ্ন

রাকসু নির্বাচন কাল, ভোট দেবেন যেভাবে

রাবি প্রতিনিধি
  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৫
  • ৩২ বার দেখা হয়েছে

রাবি প্রতিনিধি || রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেটের ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের প্রচার শেষ হয়েছে গতকাল মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) রাত ১২টায়। প্রায় ২০ দিনের প্রচার শেষে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) হবে ভোট গ্রহণ।

ভোট গ্রহণকে কেন্দ্র করে প্রস্তুতি শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। নিরাপত্তা রক্ষায় ২ হাজার পুলিশ, ৬ প্লাটুন বিজিবি ও ১২ প্লাটুন র‍্যাব মোতায়েন করা হয়েছে।

ক্যাম্পাসের প্রবেশপথগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ভোট গ্রহণের দিন এবং তার আগের ও পরের দিন বহিরাগতদের প্রবেশে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

ভোট দেবেন যেভাবে
ভোট দেওয়া ও ফলাফল তৈরির প্রক্রিয়া, নির্বাচনি আচরণবিধি, নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা কামাল আকন্দের সঙ্গে কথা বলেছেন  দৈনিক প্রথম ডাকের এ প্রতিবেদক।

অধ্যাপক মোস্তফা কামাল আকন্দ জানিয়েছেন, ভোট দেওয়ার জন্য কেন্দ্রে ঢুকে পোলিং অফিসারের কাছে থাকা তালিকায় স্বাক্ষর করে ভিন্ন রঙের ছয়টি ব্যালট পেপার সংগ্রহ করতে হবে। পরে গোপন বুথে গিয়ে তা পূরণ করতে হবে।

প্রথম ব্যালট পেপারে থাকবে সহ-সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সহ-সাধারণ সম্পাদক; দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ ব্যালটে থাকবে বিভিন্ন সম্পাদকীয় পদ, পঞ্চম ব্যালটে থাকবে সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি এবং ষষ্ঠ ব্যালটে থাকবে হল সংসদের প্রার্থীদের তালিকা। ভিন্ন রঙের ব্যালট গোপন বুথে পূরণ শেষে ভোটারদের ভিন্ন ভিন্ন রঙের স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সে রাখতে হবে।

প্রত্যেক ভোটার ভোট দেওয়ার জন্য সময় পাবেন ১০ মিনিট করে। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত লাইনে থাকা ভোটাররা ভোট দিতে পারবেন।

ভোট দেওয়ার জন্য কেন্দ্রে প্রার্থীর নাম লিখে নিয়ে যেতে পারবেন ভোটাররা। প্রার্থীরাও তাদের প্যানেলের তালিকা ভোটারদের দিতে পারবেন।

নির্বাচন কমিশনার বলেন, “আমরা ডাকসু ও জাকসুতে ভোটারদের প্যানেলের তালিকা দেওয়ার বিষয়ে অনেক অভিযোগ দেখেছি। এ বিষয়ে আমরা নির্বাচন কমিশনে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, সকল প্রার্থী ও প্যানেল তাদের প্যানেলের তালিকা ভোটরদের দিতে পারবেন। কারণ, আমরা দেখেছি, একজন ভোটারের পক্ষে এক সঙ্গে ৪১ জন প্রার্থীর নাম মনে রাখা সম্ভব না। ভোটার যেন কোনো ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার না করেন এজন্যই আমরা কাগজ নিয়ে প্রবেশের সুযোগ রাখছি।”

নির্বাচনের ফল ১২-১৫ ঘণ্টার মধ্যে
অধ্যাপক মোস্তফা কামাল আকন্দ জানান, ভোট গ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এর পরে সব কেন্দ্রের ব্যালট পেপার নিয়ে আসা হবে কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে। ভিন্ন ভিন্ন বাক্সের ব্যালট বের করে ১০০টি করে আলাদা আলাদা বান্ডেল করা হবে। প্রতিটি বান্ডেল ওএমআর মেশিনে দিয়ে গণনা করা হবে। বিশেষজ্ঞ প্যানেল তা পর্যবেক্ষণ করবে। তিনটি ধাপে চূড়ান্ত ফল তৈরি করা হবে। একটি হলের ফল তৈরি হলে অন্য হলেরটা শুরু হবে। পূর্ণাঙ্গ ফল পেতে ১৪ থেকে ১৬ ঘণ্টা লাগতে পারে।

ভোটকেন্দ্রে থাকবে সিসি ক্যামেরা। সাংবাদিকরা সম্প্রচার করতে পারবেন। ভোট গণনার প্রক্রিয়া মিলনায়তনের সামনে বড় স্ক্রিনে দেখানো হবে।

নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, আমাদের ১৭টি হলের জন্য ১৭টি কেন্দ্রে ৯ শতাধিক বুথে ভোট গ্রহণ করা হবে। ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তার জন্য ৪০০ গজের একটি বলয় করে চৌহদ্দি নির্মাণ করা হবে। এর ভেতর কোনো প্রার্থী প্রবেশ করতে এবং প্রচার চালাতে পারবেন না। প্রতিটি কেন্দ্র থাকবে সিসি ক্যামেরার আওতায়।

নিরাপত্তায় পুলিশ, সেনাবাহিনী ও বিজিবির সহায়তা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন এই নির্বাচন কমিশনার। তিনি বলেন, “আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে শিক্ষার্থীদের মুখোমুখি করাতে চাই না। আমাদের নিরাপত্তায় পুলিশ সার্বক্ষণিক কাজ করবে। বিশেষ প্রয়োজনে সেনাবাহিনী ও বিজিবি কাজ করবে।

সার্বিক বিষয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব বলেছেন, আমরা খুবই আশাবাদী। নির্বাচনি পরিবেশও অত্যন্ত সুন্দর। ভালো লাগছে এটা দেখে যে, প্রতিদ্বন্দ্বিতার পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখেই প্রচার চালাচ্ছেন। দুই-একটা ব্যত্যয় যে ঘটছে না, তা নয়। তবে, বড় কোনো ঘটনা এখনো ঘটেনি। সিন্ডিকেট থেকে যে নির্বাচন কমিশন করে দেওয়া হয়েছে, সেটা অত্যন্ত শক্তিশালী। তারা এখনো পর্যন্ত ধৈর্য রেখে কাজ করছেন। এটা যারা উপলব্ধি করতে পারছেন না, তারা শিগগিরই বুঝতে পারবেন। রির্বাচন কমিশন নানারকম অপপ্রচার, খারাপ কথা হজম করেছে শুধু শিক্ষার্থীদের কথা ভেবে।

তিনি আরো বলেন, আচরণবিধির বিষয়টা সকলের খেয়াল রাখা উচিতত। এখানে সবাই সচেতন নাগরিক, সুতরাং বারবার এই কথাটা বলতেও খারাপ লাগে। আরেকটা বিষয় হচ্ছে, রাকসু প্রয়োজন কোথায়, সেটা আমদের বুঝতে হবে। আগে শিক্ষার্থীদেরকে নেতাদের গুনে চলতে হতো, কিন্তু রাকসু হওয়ার পর শিক্ষার্থীদের আর নেতাদের গুনে চলতে হবে না।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed By: SISA IT