নিজস্ব প্রতিবেদক || ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) চলতি সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস বুধবার (১৫ অক্টোবর) সূচকের পতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন ডিএসই ও সিএসইতে আগের কার্যদিবসের চেয়ে টাকার পরিমাণে লেনদেন কিছুটা কমেছে। তবে, উভয় পুঁজিবাজারে লেনদেনে অংশ নেওয়া অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম কমেছে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, অনেক দিন ধরেই পুঁজিবাজারে লেনদেনের শুরুতে সূচকের উত্থান দেখা গেলেও লেনদেন শেষে তা পতনে রূপ নেয়। তবে, বুধবার সকালে লেনদেনের শুরু থেকেই ডিএসইএক্স সূচকের পতন দেখা গেছে। লেনদেন শেষ হওয়া পর্যন্ত সূচকের পতনমুখী প্রবণতা বিরাজ করে।
ডিএসই ও সিএসই সূত্রে জানা গেছে, দিন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৮০.৭৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫ হাজার ১১৬ পয়েন্টে। ডিএসই শরিয়াহ সূচক ২০.২৮ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯১ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ২৮.৫৯ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯৬৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
ডিএসইতে মোট ৩৯৬টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ৩৩টি কোম্পানির, কমেছে ৩২৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫টির।
এদিন ডিএসইতে মোট ৪৮৭ কোটি ৬২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৬০৬ কোটি ৪২ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচক আগের দিনের চেয়ে ১১২.৩৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৮ হাজার ৯১৩ পয়েন্টে। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৮০.১৩ পয়েন্ট কমে ১৪ হাজার ৪৯৩ পয়েন্টে, শরিয়াহ সূচক ১২.২১ পয়েন্ট কমে ৯১৬ পয়েন্টে এবং সিএসই ৩০ সূচক ১০৫.৩০ পয়েন্ট কমে ১২ হাজার ৬২২ পয়েন্টে অবস্থান করছে।সি
এসইতে মোট ১৮৫টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ৩০টি কোম্পানির, কমেছে ১৮৫টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৭টির।সি
এসইতে ১৪ কোটি ৪ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ১৫ কোটি ৮৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।