নিজস্ব প্রতিবেদক || “জুলাই সনদ একটি জাতীয় দলিল হিসেবে তৈরি হয়েছে, যার বাস্তবায়ন দ্রুতই ঘটবে এবং এই দিক-নির্দেশনার মধ্য দিয়েই ভবিষ্যতে বাংলাদেশ পরিচালিত হবে” বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে জুলাই সনদের স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “এই সনদ আমাদের স্বপ্ন, আকাঙ্ক্ষা এবং একটি বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গঠনের সংগ্রামের প্রতিফলন। প্রায় এক বছরের আন্তঃদলীয় আলোচনা ও সমঝোতার মধ্য দিয়ে এটি গঠিত হয়েছে।”
তিনি আরো বলেন, “এই সনদ শুধুই রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার চুক্তি নয়, বরং এটি একটি সামাজিক চুক্তি—নাগরিক, রাজনীতি ও রাষ্ট্রের মধ্যে। দেশের জনগণের ত্যাগ, বিশেষ করে জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে প্রাণ উৎসর্গকারীদের স্মৃতিচিহ্ন হিসেবেও এটি বিবেচিত।”
অধ্যাপক রীয়াজ বলেন, “গত ১৬ বছর ধরে দেশে একটি ফ্যাসিবাদী শাসন ব্যবস্থা বিরাজ করছিল। এর বিরুদ্ধে দেশের নাগরিকেরা যে সাহসিকতা ও দৃঢ়তা দেখিয়েছেন, তা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে এক দফা দাবিতে পরিণত করে শেষ পর্যন্ত শাসকদের পলায়নে বাধ্য করেছে। এই জয়ই ‘জুলাই সনদ’-এর জন্ম দিয়েছে।”
তিনি বলেন, “এটি শেষ নয়, বরং রাষ্ট্র সংস্কারের পথে প্রথম ধাপ। দলিল এক দিনেই পরিবর্তন আনতে পারবে না, তবে এর দ্রুত বাস্তবায়ন এবং নাগরিক মতামতের ভিত্তিতে এটি ভবিষ্যতের বাংলাদেশকে পরিচালিত করবে।”
তিনি বলেন, “মতের পার্থক্য থাকবেই, সেটাই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। তবে স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে আমরা সবাই একসাথে দাঁড়াব। এই ঐক্যই আমাদের ভবিষ্যতের পথ দেখাবে।”