নিজস্ব প্রতিবেদক || “আমরা দেশের স্বার্থে আন্দোলন করছি, কোনো রাজনৈতিক দলের হয়ে নয়। অথচ আমাদের ওপরই লাঠি উঠল, গ্রেনেড ফাটল, কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হলো।”
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর সংসদ ভবন এলাকায় এ কথা বলছিলেন আহত জুলাই যোদ্ধা রুবেল।
সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় “জুলাই সনদ স্বাক্ষর’ অনুষ্ঠানের আগে ‘জুলাই যোদ্ধা’ পরিচয়ে আসা শতাধিক ব্যক্তি পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান। এ সময় পুলিশের লাঠিপেটা, কাঁদানে গ্যাসের শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহারে উভয়পক্ষের অন্তত ২৭ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে অন্তত ১৫ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত রুবেল বলেন, “পুলিশ আমাদের সরিয়ে দিতে বলেছিল। আমরা বলেছিলাম, আলোচনায় বসুন। কিন্তু কথা না বলে হঠাৎ আমাদের ওপর আক্রমণ হলো। আমাদের দাবি ছিল স্পষ্ট রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি, আইনি সুরক্ষা ও পুনর্বাসন। এই চাওয়াই কি অপরাধ।”
আহত আরেকজন কামরুল হাসান (২৯) বলেন, “আমরা মঞ্চের সামনে শান্তিপূর্ণভাবে বসে ছিলাম। হঠাৎ করে পুলিশ এসে লাঠিপেটা শুরু করে। আমি দৌড়াতে গিয়ে পড়ে যাই, পিঠে লাঠি লাগে। হাসপাতালে আনার পরও বুকে ব্যথা অনুভব করছি।”
তাদের দাবি, “জুলাই আন্দোলনে অংশ নেওয়া ও আহত হওয়া ব্যক্তিদের ‘জুলাই শহীদ পরিবার ও আহত যোদ্ধা’ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে।”
আহত সিনথিয়া (২১) যিনি নারী যোদ্ধাদের প্রতিনিধি হিসেবে এসেছিলেন। তিনি বলেন, “আমরা নারী হয়েও সাহস করে পথে নেমেছি। কিন্তু আজ পুলিশের লাঠিতে আমি মাথায় আঘাত পেয়েছি। আমাদের এতটুকু সম্মানও কী কেউ রাখল না?”
আতিকুল গাজী (২০) নামের আরেকজন আহত বলেন, “সংসদের সামনে শান্তিপূর্ণ অবস্থান করছিলাম। বারবার বলেছিলাম, কোনো বিশৃঙ্খলা করব না। কিন্তু আমাদের কথা কেউ শোনেনি। আমাদের গায়ে হাত তুলেছে, এটা আমরা কোনোদিন ভুলব না।”
আন্দোলনকারী মাজহারুল ইসলাম বলেন, “দুপুরে পুলিশের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলাম। আমি নিজে পুলিশের সঙ্গে কথা বলে সংঘর্ষ থামানোর চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু ততক্ষণে যা হওয়ার হয়ে গেছে।