প্রথম ডাক রিপোর্ট || দেশে শিক্ষা বিস্তার কার্যক্রমের প্রসার ও শিক্ষা মানোন্নয়নের ক্ষেত্রে মেধাবিকাশকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে সেনবাগ উপজেলার ছাতারপাইয়া ইউনিয়নের চিলাদি গ্রামে অবস্থিত চিলাদি শিক্ষা উন্নয়ন ফাউন্ডেশন প্রত্যান্ত অঞ্চলের শিক্ষা বঞ্চিত শিক্ষা থেকে ঝরে পড়া ছাত্র-ছাতীদেরকে শিক্ষার প্রতি আরও উৎসাহিত করার লক্ষ্যে চিলাদি শিক্ষা উন্নয়ন ফাউন্ডেশনটি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। নোয়াখালী সেনবাগে সর্ববৃহৎ ও ঐতিহ্যবাহী বেসরকারি বৃত্তি প্রকল্প।

প্রতি বছরের মত এবারও চিলাদি শিক্ষা উন্নয়ন ফাউন্ডেশনটির উদ্যোগে ২০তম মেধা বৃত্তি পরীক্ষা-২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার ও শনিবার দুইদিন ব্যাপী সকাল ১০ টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত চিলাদি মহিলা আলিম মাদ্রাসা ও চিলাদি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় দুইটি কেন্দ্রে উক্ত শিক্ষা বৃত্তি পরীক্ষা-২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম দিন এ পরীক্ষায় সেনবাগ ও সোনাইমুড়ী এবং বেগমগঞ্জ উপজেলা ছাড়া পাশ্ববর্তী কুমিল্লা জেলার মনোহরগঞ্জ ও নাঙ্গলকোট উপজেলাসহ ৬৯ টি সরকারী-বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ও কিন্ডার গার্ডেন কেজি স্কুল এবং মাদ্রাসা-এর ৩য় শ্রেনী থেকে ৫ম শ্রেনীর ৮৫২ শতাধীক শিক্ষার্থী মেধা বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেন। দ্বিতীয় দিন ৩২টি মাধ্যমিক সমমানের ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে ৮ম শ্রেনির ৬০৩ শতাধীক শিক্ষার্থী মেধা বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেন।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দায়িত্ব পালন করেন চিলাদি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. মিজানুর রহমান ও কেন্দ্র সচিব চিলাদি মহিলা আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মোঃ জসিম উদ্দিন আশ্রাফী, উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দায়িত্ব পালন করেন ফাউন্ডেশনের সদস্য ও ছাতারপাইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মাষ্টার মো. কামরুল ইসলাম। সার্বিক বিষয়ে তত্তাবধায়ন করেন ফাউন্ডেশনের সভাপতি মাষ্টার আব্দুল খালেক ও সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. কামাল উদ্দিন এবং বৃত্তি পরিচালনা কমিটির সদস্য ও নোয়াখালী বিভাগ বাস্তবায়ন সমন্বয় কমিটি-ঢাকার অর্থ সম্পাদক মোঃ গিয়াস উদ্দিন হৃদয় ।
ফাউন্ডেশনের সভাপতি মাষ্টার আবদুল খালেক বলেন, ২০০৫ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে পরিচালিত নোয়াখালীর অন্যতম সাড়া জাগানো শিক্ষাবান্ধব উদ্যোগ ‘চিলাদি শিক্ষা উন্নয়ন ফাউন্ডেশন ’ শিক্ষার্থীদের মেধা, মনন ও নৈতিক বিকাশে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে। প্রতি বছর কুমিল্লা ও নোয়াখালীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মেধাবী শিক্ষার্থীরা এতে অংশগ্রহণ করে থাকে। আমরা চিশিউফানের বৃত্তির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মেধা, মনন ও সৃজনশীলতার বিকাশে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
শিক্ষার পাশাপাশি ফাউন্ডেশনটি কাজ করে চলছেন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে। এলাকার মানুষের কল্যাণে। দুই হাজার চব্বিশ বন্যাকালীন সময়ে সাধারণ দরিদ্র পরিবার সমূহের পাশে খাদ্য সরবরাহ করেছেন এ ফাউন্ডেশটি।