খেলাধুলা প্রতিবেদক || টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগে আকিল হোসেনের বাংলাদেশে আসার কথা ছিল। কিন্তু ওয়ানডে সিরিজে তাকে হুট করে দলে নেওয়া হয়। শনিবার পোর্ট অব স্পেনে নিজের বাড়িতে বসে প্রথম ওয়ানডে দেখেছিলেন আকিল।
এরপর দলের ডাকে রওণা হন বাংলাদেশের পথে। সোমবার রাত আড়াইটায় পৌঁছান গন্তব্যে। হোটেলে পৌঁছতে পৌঁছতে রাত চারটা। এরপর দুপুর দেড়টায় জাতীয় দলের জার্সিতে ম্যাচ খেলতে নেমে যান বাঁহাতি স্পিনার।
মাঠে নেমে দলের অন্যতম নায়ক তিনি। সুপার ওভারে ১০ রানের পুঁজি নিয়ে দলকে জিতিয়ে দেন। পরবর্তীতে সংবাদ সম্মেলনে এসে ম্যাচ নিয়ে খোলামেলা কথা বলেন।
এদিকে প্রথম ওয়ানডে চলাকালীন অদ্ভুত এক ঘটনার সাক্ষী হতে হয় তাকে। বাড়িতে বসে টিভির পর্দায় দেখছিলেন ম্যাচ। কিন্তু কিছুতেই সন্তুষ্ট হতে পারছিলেন না। কেন?
মিরপুরের উইকেট নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়েন আকিল। কালো মাটির উইকেট দেখে ক্যারিবীয়ান এই ক্রিকেটার মনে করেছিলেন, তার ঘরের টিভিতেই মনে হয় কালারে সমস্যা। পরবর্তীতে গভীর পর্যবেক্ষণের পর নিশ্চিত হন, টিভিতে নয় মিরপুরের উইকেটই কালো।
মঙ্গলবার ম্যাচ শেষে আকিল নিজের বিভ্রান্তির কথা সংবাদ সম্মেলনে বলেন। তাতে হাস্যরসের তৈরি হয়,
“যখন টিভি অন করলাম, প্রথম যে কাজটি করলাম, তা হলো টিভি পরীক্ষা করে দেখা, কারণ মনে হচ্ছিল টিভিতেই বুঝি সমস্যা। পর্দা একদম কালো, মনে হচ্ছিল কোথাও সমস্যা হয়েছে—হয়তো রঙ চলে গেছে বা কিছু একটা গোলমেলে। পরে বুঝলাম, পিচটাই এমন কালো।”
মাত্র কয়েক ঘণ্টার বিশ্রাম নিয়ে আকিলকে খেলতে হয় পুরো ১০০ ওভারের ম্যাচ। এরপর আবার সুপার ওভার। ক্লান্ত শরীরের সব পরিশ্রম নিমিষেই উধাও ম্যাচ জয়ের পর। নিজের পেশাদারিত্বের কথা তুলে ধরতে গিয়ে আকিল যোগ করেন, ‘‘রাত চারটায় হোটেলে পৌঁছেছি। কিন্তু এটাই কাজের অংশ। একবার যখন কোনো কিছুর প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হই, তখন অজুহাত চলে না—শতভাগ দিতে হয়। প্রায় নষ্টই করে ফেলেছিলাম ম্যাচটা, কিন্তু শেষ পর্যন্ত দলকে জিতিয়ে আনতে পেরেছি, এটাই বড় স্বস্তি।”