1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : Golam Saroar : Golam Saroar
মসজিদ নিয়ে আমরা রাজনীতি না করি: বজলুল করিম - দৈনিক প্রথম ডাক
শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৪৯ পূর্বাহ্ন

মসজিদ নিয়ে আমরা রাজনীতি না করি: বজলুল করিম

নোয়াখালী প্রতিনিধি
  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৫
  • ৩৩ বার দেখা হয়েছে
মঙ্গলবার নোয়াখালী সদর উপজেলার নেয়াজপুরে আহত বিএনপি নেতাকর্মীদের দেখতে যান বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ

নোয়াখালী প্রতিনিধি || বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ বলেছেন, “মসজিদে জামায়াত-শিবিরের দলীয় কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে নোয়াখালীতে বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে অনাকাঙ্ক্ষিত ও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। যা কাম্য নয়। আমরা সব রাজনৈতিক দলকে অনুরোধ করব, মসজিদ নিয়ে আমরা রাজনীতি না করি।”

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় নোয়াখালীর সদর উপজেলার নেয়াজপুরে বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় আহত বিএনপি নেতাকর্মীদের দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ বলেন, “হাসিনার পতনের পর দেশে একটা ভালো সময় এসেছে। গণতন্ত্রের সুবাতাস বইতে শুরু করেছে। এসময় আমরা যারা গত ১৭ বছর একসঙ্গে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি, তারা যদি নিজেদের মধ্যে ঝগড়া-মারামারি করি তাহলে ফ্যাসিস্ট সুবিধা নেবে।”

তিনি বলেন, “বিএনপি শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক দল, গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। গণতন্ত্র ও বাক স্বাধীনতার জন্য বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মী শহীদ হয়েছেন। আমরা বলে দিয়েছি, আমাদের নেতাকর্মীরা সর্বোচ্চ ধৈর্য ধারণ করবে, সংযম দেখাবে। আমাদের নেতাকর্মীরা কাউকে আক্রমণ করবে না। তবে, আমাদেরকে বাঁচানোর অধিকার আমাদের আছে। আমাদের ওপর কেউ জুলুম করতে আসলে তা প্রতিহত করার অধিকার আমাদের আছে।”

বিএনপির এই নেতা বলেন, “বিএনপির তৃণমূলের সব নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেওয়া আছে। গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার অর্জনে আমাদের সংগ্রাম অব্যাহত আছে। যতদিন পর্যন্ত দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা না হবে, ভোটাধিকার অর্জিত না হবে, আমরা সর্বোচ্চ ধৈর্য ধারণ করব। জনগণ যদি আমাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে, আমরা জনগণের অধিকার রক্ষায় এ দেশে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করব।”

এর আগে, বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ স্থানীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে ১৯ অক্টোবরের ঘটনায় আহত নেয়াজপুর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি ফারুক, সাধারণ সম্পাদক রায়হান ও ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মঈনকে দেখতে তাদের বাড়িতে যান। তিনি খোঁজ খবর নেন এবং চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।

গত রবিবার (১৯ অক্টোবর) জামায়াত-শিবিরের দলীয় কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে নোয়াখালীর সদর উপজেলার নেয়াজপুর ইউনিয়নের কাশেম বাজার জামে মসজিদে বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের মধ্যে সংঘর্ষের হয়। ওই ঘটনায় উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed By: SISA IT