পটুয়াখালী (উপকূল) প্রতিনিধি || পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার মহিপুরে গাজী আইস প্ল্যান্ট নামে একটি বরফ কলের কর্নেসার পাইপ লিকেজ থেকে এ্যামোনিয়া গ্যাস ছড়িয়ে অন্তত ২০ জন অসুস্থ হয়েছেন। তাদের মধ্যে পাঁচজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার রাত ২টার দিকে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) সকালে কলাপাড়া ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন অফিসার আবুল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
হাসপাতালে ভর্তি রোগীরা হলেন- সুজাউদ্দিন (৫০), মো. ফিরোজ (৪০), দুলাল (৩০), ইসমাইল (৫০) ও আপন (২৫)। তাদের সবার বাড়ি কলাপাড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়। তারা পেশায় জেলে।
ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাতে হঠাৎ বরফ কলের বাইরের একটি কর্নেসার পাইপ লিকেজ হয়। মুহূর্তেই ওই এলাকায় গন্ধ ছড়িয়ে পরে। বরফ কলের আশেপাশে থাকা অনেকের শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। স্থানীয়রা অসুস্থ হয়ে পড়া কয়েকজনকে উদ্ধার করে কুয়াকাটার তুলাতলীর হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে থেকে ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা গুরুতর পাঁচজনকে কলাপাড়া হাসপাতালে নিয়ে যান। তারা বরফ কলের মধ্যেই ঘুমিয়ে ছিলেন।
অসুস্থ সুজাউদ্দিন বলেন, “আমরা সবাই জেলে। আমাদের ট্রলার খাপড়াভাঙ্গা নদীতে নোঙ্গর করা ছিল। আমাদের অনেকে বরফ কলের মধ্যেই ঘুমিয়ে ছিলেন। গ্যাসের গন্ধে শাসকষ্ট শুরু হওয়ায় আমরা অসুস্থ হয়ে পড়ি।”

তিনি বলেন, “রাত হওয়ায় বেশি মানুষ অসুস্থ হননি। শ্বাস নিতে প্রচুর সমস্যা হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি আছি।”
গাজী আইস প্ল্যান্টের মালিক মজনু গাজী বলেন, “এটা সামান্য ঘটনা। বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। বরফ কলের বাইরের একটি কর্নেসার পাইপের লিকেজ হয়েছিল। ৫ থেকে ৭ মিনিটের মধ্যে ওই পাইপ নতুন করে জোড়া দিয়ে ঠিক করা হয়েছে।”
কলাপাড়া ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন অফিসার আবুল হোসেন বলেন, “অ্যামোনিয়া মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ গ্যাস। এ গ্যাস ছড়িয়ে পড়ার পর আমরা অসুস্থদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। এর আগেও আরো কয়েকটি বরফ কলে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে।”
কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শংকর প্রসাদ অধিকারী বলেন, “পাঁচজনই শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। রাতে তাদের অবস্থা গুরুতর ছিল। আমাদের চিকিৎসায় তাদের অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। এখন সবাই শঙ্কামুক্ত।”