সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি || সিরাজগঞ্জে তিন বস্তা টাকা জমিয়ে আলোচনায় আসা ভিক্ষুক সালেহা বেগম (৬৫) মারা গেছেন। শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় তিনি মারা যান। শনিবার (২৫ অক্টোবর) সকালে সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার কান্দাপাড়া কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর শাহরিয়ার শিপু বলেন, “সালেহা বেগম দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বগুড়ায় মারা যান তিনি। গতকাল শনিবার জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়েছে। তার জমানো টাকা মেয়েকে দেওয়া হবে।”
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে সালেহা বেগমের একমাত্র মেয়ে শাপলা খাতুন বলেন, “অনেকদিন আগে আমার বাবা মারা গেছেন। তখন থেকে মা একাই বিভিন্ন জায়গায় থাকতেন। গত ৯ অক্টোবর অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয়রা মায়ের ঘর থেকে তিন বস্তা টাকা পায়। তার মধ্যে ২৫ হাজার ২০০ টাকা মায়ের চিকিৎসায় ব্যয় হয়েছে। বাকি দেড় লাখ টাকা সাবেক কাউন্সিলরের কাছে জামা আছে।”
এলাকাবাসী জানান, সালেহা বেগম সিরাজগঞ্জ কওমি জুট মিলের বারান্দায় থাকতেন। কখনো নিজের প্রয়োজন মেটাতে কিংবা চিকিৎসার জন্যও টাকা খরচ করতেন না। দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকা এই নারীর কাছে গত ৯ অক্টোবর জমানো তিন বস্তা টাকা পাওয়া যায়। অসুস্থ অবস্থায় প্রথমে তাকে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জমানো টাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে নর্থবেঙ্গল মেডিকেল কলেজ ভর্তি করা হয়। দুইদিন পরে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তার লিভার ক্যান্সার শনাক্ত করেন। ১৩ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর গত শুক্রবার সন্ধ্যায় তিনি মারা যান।
গত ৯ অক্টোবর সিরাজগঞ্জ শহরের মাছুমপুর নতুনপাড়ায় সালেহা বেগমের বসতঘর থেকে দুইদিনের ব্যবধানে তিন বস্তা টাকা উদ্ধার করেন এলাকবাসী। সেখানে ব্যবহারযোগ্য টাকার পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৭৪ হাজার ৭৯ টাকা। সেই ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছিল।