পটুয়াখালী (উপকূল) প্রতিনিধি || নিষেধাজ্ঞা শেষে গতকাল শনিবার মধ্যরাতে সাগর মোহনায় মাছ ধরে ফিরতে শুরু করেছেন উপকূলীয় জেলা পটুয়াখালীর জেলেরা। রবিবার (২৬ অক্টোবর) সকাল থেকে জেলেরা মাছ নিয়ে ট্রলারে করে ঘাটে আসতে শুরু করেন। ফলে ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাঁকডাকে মুখর হয়ে উঠেছে জেলার বৃহৎ মৎস্য বন্দর মহিপুর ও আলীপুর।
এদিকে, চাহিদার তুলনায় মাছের পরিমাণ কম হওয়ায় চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ। বাজারে বড় সাইজের ইলিশের সংখ্যাও অনেক কম। সমুদ্র থেকে ট্রলার ফিরতে শুরু করলে বড় সাইজের এবং কম দামে ইলিশ পাওয়া যাবে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের।

ট্রলার থেকে মাছ নামাচ্ছেন মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের এক শ্রমিক
সরেজমিনে দেখা গেছে, মহিপুর ও আলীপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে ভিড়েছে কিছু সংখ্যক মাছ ধরা ট্রলার। এসব ট্রলারের সবাই কম বেশি মাছ নিয়ে আড়তে এসেছেন। এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২০০০ থেকে ২২০০ টাকা কেজি দরে। ৮০০ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৫০০ থেকে ১৬০০ টাকা কেজিতে। ৬০০-৭০০ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১০০০ থেকে ১২০০ টাকায়। বাজারে জাটকা বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি হিসেবে।
আলীপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের জেলে রুহুল আমিন মাঝি বলেন, “গতকাল শনিবার রাতে সাগরের মোহনায় যাই। মোহনায় জাল ফেলার পর দুই হাজার পিস মাছ পেয়েছি। দামও ভালো পেয়েছি। এভাবে মাছ ধরা পরলে আমরা পরিবার নিয়ে ভালো থাকতে পারব।
মহিপুরের জেলে নাসির মাঝি বলেন, “সাগরে মাছ আছে। গতকাল জাল ফেলার পর দেড় হাজার পিস ইলিশ পেয়েছি, তবে সাইজে ছোট। বাজারে দামও মোটামুটি ভালো আছে।”
কলাপাড়া সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, “২২ দিনের অবরোধ এ অঞ্চলে শতভাগ সফল হয়েছে। আশা করছি, জেলেদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়বে এবং তারা ধার-দেনা কাটিয়ে উঠতে পারবেন।”