খেলাধুলা ডেস্ক || পাকিস্তানের বড় রানের জবাবে শ্রীলঙ্কা চোখে চোখ রেখেই জবাব দিচ্ছিল। রাওয়ালপিণ্ডিতে দুই দলের ব্যাট-বলের লড়াই উষ্ণতা ছড়াল। দুই দলের মধ্যে শেষ হাসিটা কে হাসে সেটাই ছিল দেখার।পাকিস্তানের বোলারদের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কাকে আশা রেখেছিলেন অলরাউন্ডার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। পাকিস্তানের পথে কাঁটা হয়ে ৩০০ রানের লক্ষ্যের দিকে ছুটছিলেন তিনি। কিন্তু গড়বড় করা এক শট খেলে বিদায় নিয়ে শ্রীলঙ্কার সব আশা শেষ করে দেন। ৫২ বলে ৫৯ রান করে বিদায় আউট হন ডানহাতি ব্যাটসম্যান।
শেষমেশ পাকিস্তান জয় পায় মাত্র ৬ রানে। স্বাগতিকদের করা ৫ উইকেটে ২৯৯ রানের জবাব দিতে নেমে শ্রীলঙ্কা ৯ উইকেটে ২৯৩ রান করে। বোলাররা পাকিস্তানকে দারুণ এক জয় এনে দিলেও ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরি করে ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হয়েছেন সালমান আগা। ৮৭ বলে ১০৫ রান করেন ৯ বাউন্ডারিতে।
ব্যাটিংয়ে নেমে ১০০–এর আগেই প্রথম চার ব্যাটসম্যানকে (ফখর, আইয়ুব, বাবর, রিজওয়ান) হারিয়ে কিছুটা বিপদে পড়েছিল পাকিস্তান। চার উইকেটের তিনটিই হাসারাঙ্গার শিকার।
পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ে উদ্ধার করেন সালমান আগা ও হুসেইন তালাত। পঞ্চম উইকেটে দুজন গড়েন ১২১ বলে ১৩৮ রানের জুটি। ৬২ রানে তালাত ফিরলেও সালমান তুলে নেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। পাকিস্তান প্রথম ৩০ ওভারে ৪ উইকেটে ১১৯ রান করেছিল। পরের ২০ ওভারে তারা নেয় ১৮০ রান। শেষ দিকে ঝড় তোলেন মোহাম্মদ নওয়াজ। ৫ চার ও ১ ছক্কায় ২৩ বলে ২৬ করেন নওয়াজ। ষষ্ঠ উইকেটে সালমানের সঙ্গে ৪০ বলে অবিচ্ছিন্ন ৬০ রানের জুটি গড়েন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
ব্যাটিংয়ে ভালো করার আগে নিজের মূল কাজ বোলিংয়ে ৫৪ রানে ৩ উইকেট নিয়ে হাসারাঙ্গা ছিলেন দলের সেরা।
রান তাড়ায় শুরুটা দারুণ হয় শ্রীলঙ্কার। পাওয়ার প্লেতে শ্রীলঙ্কা করে বিনা উইকেটে ৭৫ রান। পাকিস্তানকে ট্র্যাকে ফেরান হারিস রউফ। ১২তম ওভারে ডানহাতি পেসারের পরপর দুই বলে কামিল মিশারা ও কুশল মেন্ডিস আউট হন। পরের ওভারের দ্বিতীয় বলে তার শিকার পাথুম নিশাঙ্কা। ৮৫ থেকে ৯০ রানে যেতে শ্রীলঙ্কা ৩ উইকেট হারিয়ে প্রবল চাপে পড়ে।
চারিথ আসালাঙ্কা ও সাদিরা সামারাব্রিকমা ৫৭ রানের জুটি গড়ে প্রতিরোধ গড়লেও দ্রুত রান আসছিল না। থিতু হওয়ার আসালাঙ্কা প্রতি আক্রমণে গিয়ে রান তোলার চেষ্টা করেন। কিন্তু বড় স্কোরের তাড়াও খুব একটা ভালো করছিল না। হাসরাঙ্গা ক্রিজে এসেই নিজের ছন্দে এগিয়ে যেতে থাকেন। চোখের পলকেই তুলে নেন ফিফটি।
শ্রীলঙ্কার প্রয়োজন যখন ৯ বলে ২১ রান, নাসিমের ফুল টসে লং অনে ধরা পড়েন হাসারাঙ্গা। এরপর শেষ ওভারে ২১ রানের তাড়ায় ১৪ রানের বেশি পায়নি সফরকারীরা।
৬১ রানে ৪ উইকেট নিয়ে রউফ ছিলেন দলের সেরা বোলার। একই মাঠে আগামী বৃহস্পতিবার হবে দ্বিতীয় ম্যাচ।