স্বাস্থ্য ডেস্ক || সম্প্রতি রাজধানীতে শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই অনেক মানুষ আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। ভূমিকম্প সবার মনেই কম-বেশি মানসিক চাপ তৈরি করে। এবং এই চাপ হঠাৎই তৈরি হয়। হঠাৎ প্রচণ্ড মানসিক চাপের সম্মুখীন হলে আমাদের শরীরে অ্যাড্রেনালিন হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়। কারও কারও ক্ষেত্রে এই অ্যাড্রেনালিনের প্রভাবে হৃৎপিণ্ডের স্পন্দন এবং রক্তপ্রবাহে সাময়িকভাবে খানিকটা অস্বাভাবিকতা সৃষ্টি হতে পারে।
বিশেষ করে ভূমিকম্প পরবর্তী মাথা ঘোরা সিন্ড্রোম দেখা দিতে পারে। বার বার মনে হতে পারে ‘ভূমিকম্প হচ্ছে’। মানসিক অবস্থা এমন হলে বুঝতে হবে আপনি পোস্ট আর্থকোয়েক ডিজিনেস সিনড্রম-এ আক্রান্ত। এর ফলে শরীরে দ্রুত কিছু পরিবর্তন আসতে পারে।
অ্যাডাপ্টেশন সিন্ড্রোম
মস্তিষ্ক কম্পনের সাথে খাপ খাইয়ে নেয় এবং কম্পন বন্ধ হয়ে গেলেও সেই অনুভূতি বজায় রাখে।
দৃষ্টিগত সমস্যা
ভূমিকম্পের সময় দেখা এবং অনুভব করা এই দুইয়ের মধ্যে তথ্যের অসামঞ্জস্যের কারণে মাথা ঘোরা এবং দৃষ্টিগত সমস্যা হতে পারে।
মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ
ভূমিকম্প একটি ভীতিকর অভিজ্ঞতা। একবার ভূমিকম্প হওয়ার পরে তীব্র মানসিক চাপ অনুভব করলে আপনার মনে হতে পারে ‘ঝাঁকুনি দিচ্ছে’।
সমস্যা সমাধানে করণীয়
এক. বার বার যদি মনে হতে থাকে ‘ভূমিকম্প’ হচ্ছে তাহলে আশেপাশের দৃশ্য আপনাকে আরও বিভ্রান্ত করতে পারে। সমস্যা মনে করলে চোখ বন্ধ করে গভীর শ্বাস নিন।
দুই. গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম, ধ্যান বা যোগব্যায়াম মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করতে পারে।
তিন. পর্যাপ্ত পানি পান করুন।
চার. পর্যাপ্ত ঘুম এবং বিশ্রামকে অগ্রাধিকার দিন।
পাঁচ. ভূমিকম্প সম্পর্কিত খবর বা ভিডিও দেখার পরিমাণ কমিয়ে আনুন।
ছয়. সম্ভব হলে এমন পরিবেশে থাকুন যেখানে আপনি নিরাপদ এবং শান্ত বোধ করেন।
দীর্ঘস্থায়ী মাথা ঘোরা বা মানসিক চাপ সম্পর্কিত লক্ষণগুলির জন্য চিকিৎসা পরামর্শ নিন— সমস্যা সমাধানে ওষুধ সেবন বা থেরাপির সাহায্য নিতে হতে পারে।
সূত্র: ব্যাংকক হসপিটাল অবলম্বনে