বিনোদন ডেস্ক || ভারতীয় বাংলা শোবিজ অঙ্গনের দিকে নজর দিলে পরিষ্কার বোঝা যায়, বিয়ের মৌসুম ঝেঁকে বসেছে। কমেডিয়ান খরাজ তার ছেলের বিয়ে ধুমধাম করে দিলেন। এরপর বিয়ের পিঁড়িতে বসেন ‘কৃষ্ণকলি’খ্যাত অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা হালদার। গতকাল ঘটা করেই মালা বদল করেছেন টলিউড অভিনেত্রী মৌবনী সরকার। তার আরেক পরিচয় প্রখ্যাত জাদুশিল্পী পিসি সরকার জুনিয়রের মেজ কন্যা তিনি।
আজতাক এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, রবিবার (৩০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় পিসি সরকারের বাড়িতে বাড়ির মেজ কন্যা মৌবনী সরকারের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। খবরের কাগজে বিজ্ঞাপন দিয়ে পাত্র খুঁজে, সেই পাত্রের গলায় মালা পরান পি সি সরকার জুনিয়রের-কন্যা। তার বরের নাম সৌম্য। মৌবনীর বিয়ের একাধিক ছবি ও ভিডিও এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।
ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, কনের সাজে মৌবনীকে একেবারে লক্ষ্মীর মতো লাগছে। বারাণসী থেকে আনা বেগুনি রঙের বেনারসি, সোনার গহনা, শোলার মুকুট, কপালে চন্দন ও মাথায় ভেল পরে মিষ্টি দেখাচ্ছিল মৌবনীকে। বাঙালি বিয়ের সব রীতিনীতি মেনেই বিয়ের কাজ সম্পন্ন হয়। আশীর্বাদ পর্ব, মালা বদল থেকে সিঁদুর দান সবটাই করেছেন তারা। জামাই সৌম্যকে বরণ করতে গিয়ে চোখের জল আটকাতে পারেননি জাদুসম্রাটের স্ত্রী।

জাদুকর বাবা ও পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে মৌবনী
কন্যাদানের সময়ও চোখে জল দেখা যায় পি সি সরকার জুনিয়র ও তার স্ত্রীর। বোনের বিয়ে বলে কথা, বরকর্তা হিসেবে বিয়ের সবকিছু খুঁটিয়ে দেখছিলেন মুমতাজ ও মানেকা। সৌম্যর পরনে ছিল প্রিন্টেট পাঞ্জাবি, গলায় হার, লাল ধুতি, মাথায় মুকুট। জামাইকে জাদুসম্রাট হীরার বোতাম দিয়ে আশীর্বাদ করেন। পি সি সরকারকে লাল রঙের পাঞ্জাবি, সাদা ধুতি এবং গলায় সাদা উত্তরীয়তে দেখা যায়।
টলিপাড়ার অনেক তারকা এই বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন। চন্দননগর বাসিন্দা মৌবনীর বর সৌম্য রায়। তিনি পেশায় রিসার্চ অ্যানালিস্ট।
২০০৯ সালে ‘বাদলা’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে পা রাখেন মৌবনী। প্রসেনজিতের বিপরীতে অভিনয় করেন তিনি। তারপর ‘কলির অর্জুন’, ‘লজ্জা’, ‘সেভেন ডেস’, ‘অন্তরে বাহিরে’, ‘নদী রে তুই’ প্রভৃতি সিনেমায় অভিনয় করেন এই অভিনেত্রী।