1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : Golam Saroar : Golam Saroar
জাহাজ চলাচল শুরু, খুলল সেন্টমার্টিনের দুয়ার - দৈনিক প্রথম ডাক
সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:৫০ অপরাহ্ন

জাহাজ চলাচল শুরু, খুলল সেন্টমার্টিনের দুয়ার

কক্সবাজার প্রতিনিধি
  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২৫
  • ৩ বার দেখা হয়েছে

কক্সবাজার প্রতিনিধি || দীর্ঘ ১০ মাস পর পর্যটকদের জন্য খুলল সেন্টমার্টিনের দুয়ার। থাকছে রাতে থাকারও সুযোগ। তবে নতুন নিয়ম অনুযায়ী আগামী দুই মাস দৈনিক দুই হাজারের বেশি পর্যটক সেন্টমার্টিনে যেতে পারবেন না এবং মানতে হবে ১২ নির্দেশনা।

সোমবার (১ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া জেটিঘাট থেকে প্রথম জাহাজ ছেড়ে যায়। যাত্রার প্রথম দিনে তিনটি জাহাজে মোট ১ হাজার ২০০ পর্যটক সেন্টমার্টিন যাবেন বলে জানিয়েছে জাহাজমালিকদের সংগঠন।

বঙ্গোপসাগরের বুকে ৮ বর্গকিলোমিটারের এই অনন্য দ্বীপে গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে পর্যটক প্রবেশ বন্ধ ছিল। পরিবেশ প্রতিবেশ সংরক্ষণে গত বছর থেকে নিয়ন্ত্রিত পর্যটন ব্যবস্থা চালু করে সরকার। সেই নীতিমালার আওতায় এবারও নভেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত সীমিত আকারে ভ্রমণের সুযোগ পাচ্ছেন দেশি–বিদেশি পর্যটকরা।

জাহাজ মালিক ও পর্যটন ব্যবসায়ীদের মতে, মিয়ানমারের রাখাইনে সংঘাতের কারণে ২০২৩ সাল থেকে টেকনাফের দমদমিয়া ঘাট দিয়ে জাহাজ চলাচল বন্ধ রয়েছে। পরে ইনানীর নৌবাহিনীর জেটিঘাট হয়ে চলাচল শুরু হলেও গত বছর থেকে কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া বিআইডব্লিউটিএ জেটি থেকেই সেন্টমার্টিনগামী জাহাজ পরিচালিত হচ্ছে।

সি ক্রুজ অপারেটর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-এর সাধারণ সম্পাদক হোসাইনুল ইসলাম বাহাদুর জানান, ১ নভেম্বর থেকে দ্বীপে যাওয়ার অনুমতি থাকলেও রাতযাপনের অনুমতি না থাকায় পর্যাপ্ত যাত্রী পাওয়া যায়নি। ফলে জাহাজ চলাচল শুরু হয়নি। তবে ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে তারা আবারও যাত্রা শুরু করছেন। গত বছর এই দুই মাসে এক লাখের বেশি পর্যটক দ্বীপটি ভ্রমণ করেন।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. শাহিদুল আলম জানান, এমভি কর্ণফুলি এক্সপ্রেস, এমভি বারো আউলিয়া, কেয়ারি সিন্দাবাদ ও কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইন এই চারটি জাহাজকে সেন্টমার্টিন-কক্সবাজার রুটে চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

মানতে হবে যেসব নির্দেশনা
পর্যটকদের অবশ্যই বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের স্বীকৃত অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে টিকিট সংগ্রহ করতে হবে। প্রতিটি টিকিটে ট্রাভেল পাস ও কিউআর কোড থাকবে। কিউআর কোড ছাড়া টিকিট নকল হিসেবে গণ্য হবে।

দ্বীপের পরিবেশ রক্ষায় রাতের বেলা সৈকতে আলো জ্বালানো, উচ্চ শব্দে অনুষ্ঠান, বারবিকিউ পার্টি, কেয়াবনে প্রবেশ, কেয়াফল সংগ্রহ ও ক্রয়-বিক্রয় এবং সামুদ্রিক কাছিম, পাখি, প্রবাল, রাজকাঁকড়া ও অন্যান্য জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি পুরোপুরি নিষিদ্ধ। সৈকতে মোটরসাইকেল, সি-বাইকসহ মোটরযান চলাচল বন্ধ এবং নিষিদ্ধ পলিথিন ও একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক ব্যবহারও নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নুর আহমদ বলেন, “রাত্রিযাপনের সুবিধাসহ পর্যটকদের জন্য সেন্টমার্টিন উন্মুক্ত করায় এখনকার অর্থনীতি একটু ঘুরে দাঁড়াবে বলে আশা করছি। আমরা চাই শুধু দুই মাস নয়, অন্তত চার মাস পর্যটকদের জন্য রাত্রিযাপনসহ উন্মুক্ত করা হোক দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন।”

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মান্নান জানান, সেন্টমার্টিনের পরিবেশ রক্ষায় জারি করা সব নির্দেশনা কঠোরভাবে বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসন মাঠে থাকবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed By: SISA IT