স্বাস্থ্য ডেস্ক || ‘রিজ গ্রাউন্ড’ নামে পরিচিত ঝিঙে। এই সবজি সারা বিশ্বে পুষ্টিকর খাবার হিসেবে স্বীকৃত। হজমে সমস্যা দেখা দিলে অনেকে কচি ঝিঙে ও শিং মাছের ঝোল খাওয়ার পরামর্শ দেন। আসলেই কী ঝিঙে হজমের সমস্যা দূর করতে পারে? এই সবজি খেলে শরীরে কী কী পরিবর্তন আসে, চলুন জানা যাক।
ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধ করে
ঝিঙে এমন একটি সবজি , এতে ৯২ শতাংশ পানি থাকে। গ্রীষ্মে ঝিঙে খেলে শরীরকে পানিশূন্যতা থেকে বাঁচে। এই সবজি শরীর ঠান্ডা রাখে। সারাদিন হাইড্রেটেড থাকতে সহায়তা দেয় ঝিঙে। ঝিঙেতে রয়েছে পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং সোডিয়ামের মতো ইলেক্ট্রোলাইট উপাদান। যা শরীরের পানির ভারসাম্য তৈরি করে।
২০১৩ সালে ‘জার্নাল অফ হিউম্যান নিউট্রিশন অ্যান্ড ডায়েটেটিক্সে’- এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়- ‘‘যারা ঝিঙে খেয়েছিলেন তাদের শরীরে ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত হয়েছিল।’’
ওজন নিয়ন্ত্রণ করে
বিশেষজ্ঞদের মতে, ‘‘ঝিঙে ওজন কমাতে সাহায্য করে। এই সবজিতে ক্যালরি কম, পানি ও ফাইবার বেশি রয়েছে। যার ফলে ঝিঙে খেলে অনেকক্ষণ পর্যন্ত পেট ভরা থাকে ও ওজন কমতে কমে।’’
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ
ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের জন্য ঝিঙে ভালো। এই সবজি ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ। যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। ম্যাগনেসিয়াম ইনসুলিনের কার্যকারিতা উন্নত করতে সাহায্য করে ।
২০১১ সালে ‘আমেরিকান জার্নাল অফ ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনে’ প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যাদের শরীরে ম্যাগনেসিয়ামের মাত্রা বেশি তাদের টাইপ ২ ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি ১৭ শতাংশ থেকে ২১ শতাংশ কমে। এই গবেষণার অন্যতম গবেষক ড. সাইমন ডি উইলিয়ামস বলেন, ‘‘একটি উচ্চ-ম্যাগনেসিয়াম খাদ্য টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে পারে৷’’
হার্টের জন্য ভালো
ঝিঙেতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় এটি হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এ ছাড়া ঝিঙে খারাপ কোলেস্টেরলও কমায়।
হজমশক্তির উন্নতি ঘটায়
ঝিঙেতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকায় হজমে সাহায্য করে। এছাড়াও ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করতে পারে। এতে পাচনতন্ত্রের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়।