আন্তর্জাতিক ডেস্ক || পর্তুগালের পার্লামেন্ট জনসমক্ষে ‘লিঙ্গ বা ধর্মীয়’ কারণে মুখ ঢাকা বোরকা নিষিদ্ধ করতে একটি বিল অনুমোদন করেছে। এটি মূলত মুসলিম নারীদের লক্ষ্য করে করা হয়েছে, যারা মুখ ঢাকা বোরকা পরেন।
বিলটি গতকাল শুক্রবার পাস হয়েছে। এ বিলটি প্রস্তাব করেছিলেন দক্ষিণপন্থি চেগা পার্টির নেতা আন্দ্রে ভেনচুরা। শনিবার (১৮ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নতুন এই বিলে পর্তুগালে জনসমক্ষে বোরকা ও নিকাব নিষিদ্ধ করার কথা বলা হয়েছে। তবে বিমান, কূটনৈতিক প্রাঙ্গণ ও উপাসনালয়ে মুখ ঢাকা বোরকা ব্যবহারের অনুমতি থাকবে।
প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী, জনসমক্ষে নিকাব পরলে ২০০ থেকে ৪ হাজার ইউরো পর্যন্ত জরিমানা করা হবে। এছাড়া কাউকে জোরপূর্বক বোরকা পরাতে হলে সর্বোচ্চ তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।
সংসদীয় কমিটি এখন বিলটি নিয়ে আলোচনা করবে এবং পরবর্তী ধাপে সাংবিধানিক বিষয়গুলো পর্যালোচনা করা হবে। পর্তুগালের প্রেসিডেন্ট মার্সেলো রেবেলো ডি সুজা বিলটিতে ভোট দিতে পারেন অথবা আরও যাচাই-বাছাইয়ের জন্য সাংবিধানিক আদালতে পাঠাতে পারেন। এ বিল আইনে পরিণত হলে পর্তুগালও সেই ইউরোপীয় দেশগুলোর তালিকায় নাম লেখাবে, যেখানে জনসমক্ষে মুখ ঢাকা বোরকা পরা আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। ইতিমধ্যে ফ্রান্স, অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম ও নেদারল্যান্ডসে এ ধরনের বিধিনিষেধ রয়েছে।
বিলটি পাসের সময় পার্লামেন্টে চেগা পার্টির নেতা আন্দ্রে ভেনচুরা বলেন, “আজ আমরা পার্লামেন্টের নারী সদস্যদের, আমাদের মেয়েদের এই দেশে একদিন বোরকা পরার হাত থেকে রক্ষা করছি। এটি নারীদের ‘বর্জন ও হীনমন্যতার পরিস্থিতির’ শিকার করে। এটি আমাদের ‘স্বাধীনতা, সমতা ও মানবিক মর্যাদা’ এর মতো নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।”
তবে বামপন্থি দলগুলোর আইনপ্রণেতারা দ্বিমত পোষণ করেছেন। বিলের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া মধ্য-বামপন্থি সোশ্যালিস্ট পার্টির আইনপ্রণেতা পেদ্রো দেলগাডো আলভেস বলেন, “এই উদ্যোগটি কেবলমাত্র বিদেশিদের লক্ষ্য করার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে, যাদের ভিন্ন ধর্ম রয়েছে।”