খেলাধুলা প্রতিবেদক || সোজা ব্যাটে সাইফ হাসানের ছক্কা। স্লগ সুইপে বল গ্যালারিতে। সৌম্য সরকার জায়গা বানিয়ে মিড উইকেট দিয়ে উড়ালেন ছক্কা। রিভার্স সুইপে টাইমিং মিলিয়ে বল পাঠালেন সীমানার বাইরে। মিরপুর শের-ই-বাংলার ২২ গজে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বোলারদের নাকানিচুবানি খাইয়ে সাইফ ও সৌম্য যা করলেন তা স্রেফ চোখ ধাঁধিয়ে দিয়েছে। চার-ছক্কার ফুলঝুরিতে বাংলাদেশ পেয়েছে উড়ন্ত সূচনা। যেভাবে রান করেছেন, যে প্রক্রিয়ায় তাদের ব্যাটিং এগিয়েছে তা মন জয় করে নিয়েছে ক্রিকেটপ্রেমিদের।
বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ২৫.২ ওভারে ১৭৬ রানে থেমেছে তাদের জুটি। সাইফ হাসান রোস্টন চেজকে উড়াতে গিয়ে লং অনে ক্যাচ দেন ৭২ বলে ৮০ রানে। তার ইনিংসে ছিল ৬টি করে চার ও ছক্কা। ১৪তম ফিফটি পাওয়া সৌম্য সেঞ্চুরির পথে ছিলেন। কিন্তু ৯ রানের আক্ষেপে পুড়তে হয় তাকে। ৮৬ বলে ৯১ রান করেন ৭ চার ও ৩ ছক্কায়। জোড়া সেঞ্চুরির সূবর্ণ সুযোগ ছিল দুই ওপেনারের। কিন্তু দুজনই হাতছাড়া করেছেন। তাতে এক আকাশ হতাশা নিয়ে দুজনই ফেরেন ড্রেসিংরুমে।
তবে ফেরার আগে মিরপুরের ২২ গজ মাতিয়ে অর্জনের পাতা সমৃদ্ধ করেছেন দুজনই। সেই সবে চোখ বুলানো যাক—
এক.
এই বছর এবারই প্রথম ৫০ রানের বেশি ওপেনিং জুটি পেয়েছে বাংলাদেশ।
দুই.
ইনিংসের ১৬তম ওভারে বাংলাদেশের রান একশ পেরিয়ে যায়। ওয়ানডে ক্রিকেটে ৪৫ ইনিংস পর উদ্বোধনী জুটিতে শতরানের দেখা পায় বাংলাদেশ। ২০২৩ সালের মার্চে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তামিম ও লিটন ১০২ রান করেছিলেন।
তিন.
ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এটিই সর্বোচ্চ রানের উদ্বোধনী জুটি। এর আগে ২০১৯ সালে ডাবলিনে তামিম ও সৌম্য ১৪৪ রান করেছিলেন।
চার.
সৌম্য ও সাইফের ১৭৬ রান উদ্বোধনী জুটিতে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। সর্বোচ্চ ২৯২, ২০২০ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে করেছিল বাংলাদেশ।
পাঁচ.
২০১৫ সালের ১১ নভেম্বর মিরপুরে ওয়ানডেতে ১৪৭ রান করেছিলেন তামিম ও ইমরুল। ১০ বছরের মধ্যে সৌম্য ও সাইফের জুটি মিরপুর স্টেডিয়ামে সর্বোচ্চ।
ছয়.
মিরপুরে যেকোনো উইকেটে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের জুটি এটি। ২০১৫ সালে মুশফিকুর রহিম ও তামিম ইকবাল পাকিস্তানের বিপক্ষে তৃতীয় উইকেটে ১৭৮ রান করেছিলেন।