খেলাধুলা প্রতিবেদক || লিটন দাস ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণীতেই বোলারদের উদ্দেশ্য করে ‘সরি’ বলেছেন। কারণটা স্পষ্ট এবারের ব্যাটিং একেবারে যুৎসই হয়নি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান যেখানে দুইশ ছাড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল সেখানে ১৪৯ রানে আটকে রেখে ম্যাচ জয়ের সুযোগ তৈরি করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার গাড়ি তো চলছেই। যেখান থেকে বের হওয়ার উপক্রম আপাতত নেই।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬১ রান করা তানজিদ হাসান।
১৪ রানে ম্যাচ হারের ব্যাখ্যা…
তানজিদ হাসান: আসলে, ম্যাচ তো আর একা জেতা যায় না। উইকেটটা যেমন ছিল, এখানে সেট ব্যাটসম্যানের শেষ করতে হয় উইকেটে। কারণ উইকেটটা একটু স্লো ছিল। বল আসতেছিল না ব্যাটে। নতুন ব্যাটসম্যানদের জন্য এটা একটু কঠিন গিয়েছিল হিটিং করা। আমার কাছে মনে হয় আমি যদি শেষ পর্যন্ত থাকতে পারতাম, তাহলে হয়তোবা ম্যাচটা বের হয়ে যেত।
আপনার উইকেটটাই আসলে বাংলাদেশের জন্য একটা টার্নিং পয়েন্ট হয়ে গিয়েছিল?
তানজিদ হাসান: অবশ্যই। আপনাকে যেটা বললাম যে, এই উইকেটে সেট ব্যাটসম্যানদেরই শেষ করতে হয়। কারণ নতুন ব্যাটসম্যানদের হিটিং করাটা একটু ডিফিকাল্ট এই উইকেটে। আমার দায়িত্ব যেটা ছিল, যদি শেষ পর্যন্ত দায়িত্বটা পালন করতে পারতাম, তাহলে হয়তোবা ইজিলি ম্যাচটা বের হয়ে আসতো।
আসলে ১৫০ রান তাড়া করাটা কি এই উইকেটে এত বেশি কঠিন ছিল?
তানজিদ হাসান: যেই উইকেটই থাকুক না কেন, ১৫০ রান তাড়া করার মতো। এটা আসলে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতা। আমরা সবাই দায়িত্ব নিতে পারি নাই। এটা নিয়ে কিছু বলতে চাচ্ছি না। হয়তো বা আমাদের একটা ব্যাড ডে ছিল ব্যাটসম্যানদের জন্য।
কিন্তু আপনার ও জাকেরের জুটিতে ডট বল ছিল বেশি..
তানজিদ হাসান: এই জায়গাটা যদি আমরা, ডট বলসটা মিনিমাইজ করতে পারতাম, তাহলে হয়তোবা আমাদের চাপটা একটু কম হতো। কিন্তু আমরা পারিনি। এটা আমাদের খুঁজে বের করতে হবে যে আমাদের কিভাবে আরো ডট বল মিনিমাইজ করে খেলাটাকে আগে নিয়ে যাওয়া যায়।