1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : Golam Saroar : Golam Saroar
খুলনায় নতুন কারাগার চালু, ফুল দিয়ে স্বাগত জানানো হবে বন্দীদের - দৈনিক প্রথম ডাক
বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ১০:৫৯ পূর্বাহ্ন

খুলনায় নতুন কারাগার চালু, ফুল দিয়ে স্বাগত জানানো হবে বন্দীদের

খুলনা প্রতিনিধি
  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ১ নভেম্বর, ২০২৫
  • ১৯ বার দেখা হয়েছে
খুলনার নতুন কারাগারের মূল ফটক।

খুলনা প্রতিনিধি || খুলনায় নব-নির্মিত জেলা কারাগারের কার্যক্রম শনিবার (১ নভেম্বর) থেকে শুরু হচ্ছে। আজ পুরাতন কারাগার থেকে সাজাপ্রাপ্ত ১০০ জন কয়েদিকে নতুন কারাগারে স্থানান্তরের মধ্য দিয়ে কার্যক্রম শুরু হবে। তাদেরকে নতুন কারাগারে ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানানো হবে।

এ ব্যাপারে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এরইমধ্যে খুলনায় পৌঁছেছেন খুলনা বিভাগীয় কারা অধিদপ্তরের কারা-উপ মহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজন) মো. মনির হোসেন। নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে খুলনা জেলা কারাগারের সুপার মো. নাসির উদ্দিন প্রধান বলেন, “সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। সকাল সাড়ে নয়টার দিকে ১০০ জন কয়েদিকে প্রিজন ভ্যানে করে নতুন কারাগারে স্থানান্তর করা হবে।”

তিনি জানান, এরইমধ্যে নতুন কারাগারে ৮৩ জন কারারক্ষী এবং একজন ডেপুটি জেলার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তবে নতুন কোন সুপার এবং জেলার নিয়োগ না হওয়ায় পুরাতন কারাগারের সুপার অর্থাৎ তিনি নিজে এবং জেলার দুটি কারাগারেই দায়িত্ব পালন করবেন। পুরাতন কারাগার থেকে নতুন কারাগারের দূরত্ব ১০ কিলোমিটার।

ভৈরব নদীর তীরে অবস্থিত জেলখানা ঘাটের বর্তমান কারাগারটি খুলনা মহানগর কারাগার হিসেবে চালু থাকবে। কারাগারটি ১৯১২ সালে নির্মিত। যেখানে বন্দীর ধারণ ক্ষমতা মাত্র ৬৭৮ জন। কিন্তু ধারণ ক্ষমতার প্রায় দ্বিগুণ অর্থাৎ ১৪শ’রও বেশি বন্দী থাকায় সেখানে ভয়াবহ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। নতুন কারাগার চালু হলে তা অনেকটাই লাঘব হবে বলে আশা করছেন কারা কর্তৃপক্ষ।

পুরাতন কারাগার থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে খুলনা শহরের বাইপাস সড়কে জিরো পয়েন্টের কাছে ৩০ একর জমির ওপর ২৮৮ কোটি টাকা ব্যয়ে আধুনিক নতুন জেলা কারাগারটি নির্মিত হয়েছে।

গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নতুন এ কারাগারে মোট ৫২টি অবকাঠামো রয়েছে এবং এটি সর্বোচ্চ ৪ হাজার বন্দী ধারণ করতে সক্ষম। এটি একটি সংশোধনাগার হিসেবে নকশা করা হয়েছে, যেখানে বিচারাধীন ও দণ্ডপ্রাপ্ত বন্দীদের জন্য পৃথক ইউনিট ছাড়াও কিশোর ও নারী বন্দীদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

এ কারাগারে ৫০ শয্যার হাসপাতাল, ওয়ার্কশপ, পাঠাগার, কারারক্ষীদের সন্তানদের জন্য বিদ্যালয়, ডে-কেয়ার সেন্টার এবং নারী বন্দীদের সন্তানসহ থাকার জন্য বিনোদন কেন্দ্রও থাকবে।

খুলনা জেলা কারাগারের সুপার মো. নাসির উদ্দিন প্রধান বলেন, “নতুন কারাগারে স্থানান্তরিত কয়েদিদের ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানানো হবে। এরইমধ্যে সেখানে কর্মকর্তারা অবস্থান করছেন।”

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed By: SISA IT