নীলফামারী প্রতিনিধি || নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডে শ্রমিকদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় হাবিব (২৬) নামে এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন শ্রমিকরা। আহত হয়েছেন অন্তত ১০-১৫ জন। মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়।
নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. তানজিরুল ইসলাম ফারহান বলেন, “মৃত অবস্থায় একজন শ্রমিককে হাসপাতালে আনা হয়। তার বুকে আঘাতের চিহ্ন ছিল। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন ছাড়া মৃত্যুর সঠিক কারণ বলা সম্ভব নয়। আহত পাঁচজন চিকিৎসাধীন।”
নিহত হাবিব নীলফামারী সদর উপজেলা সংগলশী ইউনিয়নে দুলালের ছেলে। তিনি ভেনচুরা লেদার ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের শ্রমিক ছিলেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শ্রমিক জানান, উত্তরা ইপিজেডে অবস্থিত এভারগ্রিন প্রোডাক্টস ফ্যাক্টরিতে শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধসহ বিভিন্ন দাবিতে গত তিন দিন ধরে আন্দোলন চলছিল। গত সোমবার রাতে হঠাৎ করে কারখানা বন্ধের নোটিশ দেয় কর্তৃপক্ষ। এতে বিক্ষোভ আরো তীব্র হয়।
আজ মঙ্গলবার সকালে শ্রমিকরা ইপিজেডের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে শ্রমিকদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এ সময় এক শ্রমিক নিহত হন। তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষোভ আরো বেড়ে যায়।
এ বিষয়ে নীলফামারী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এম.আর সাঈদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। ৫৬ বিজিবির কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস এম বদরুদ্দোজা জানান, এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে অবস্থান করছেন।
সোমবার রাতে ইপিজেড কর্তৃপক্ষ নোটিশে জানায়, এভারগ্রিন প্রোডাক্টস ফ্যাক্টরি (বিডি) লিমিটেডের শ্রমিকরা বৈধ নির্দেশ অমান্য করে কাজে যোগ না দিয়ে বেআইনিভাবে উৎপাদন বন্ধ রেখেছেন। এতে উৎপাদন কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ক্রেতারা অসন্তুষ্ট হয়েছেন। ফলে বাংলাদেশ ইপিজেড শ্রম আইন ২০১৯-এর ধারা ১২(১) মোতাবেক ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ থেকে প্রতিষ্ঠানটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়।