1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : Golam Saroar : Golam Saroar
ছাত্রীদের ‌‌‘যৌনকর্মী’ বলা ছাত্রদল নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার - দৈনিক প্রথম ডাক
সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৪১ পূর্বাহ্ন

ছাত্রীদের ‌‌‘যৌনকর্মী’ বলা ছাত্রদল নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার

রাবি প্রতিনিধি
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ৫৩ বার দেখা হয়েছে
আনিসুর রহমান মিলন

রাবি প্রতিনিধি || রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) জুলাই ৩৬ হলের শিক্ষার্থীদের যৌনকর্মী বলে মন্তব্য করা ছাত্রদল নেতা আনিসুর রহমান মিলনকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করেছে শাখা ছাত্রদল।

বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে শাখা ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক নাফিউল ইসলাম জীবনের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এ ঘটনায় সাংগঠনিক পদ স্থগিত করে সত্যতা যাচাই করার জন্য দুই সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে শাখা ছাত্রদল। তদন্ত কমিটির সদস্য হলেন, শাখা ছাত্রদলের সিনিয়র সহসভাপতি শাকিলুর রহমান সোহাগ ও সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফিক।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জুলাই ৩৬ হল-এর প্রভোস্ট থেকে ৯১ জন শিক্ষার্থীকে অযাচিতভাবে তলব করার প্রতিবাদে ছাত্রদলের সহসভাপতি ও শিক্ষার্থী জান্নাতুল নাঈমা তুহিনার ব্যক্তিগত ফেসবুক স্ট্যাটাসে শাহ মখ্দুম হলের সহসভাপতি এ আর মিলন খান কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যবৃন্দের পক্ষ থেকে এ আর মিলন খানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি সন্তোষজনক কোনো জবাব না দিয়ে ফোন বন্ধ করে দেন। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয় যে উক্ত কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য তিনিই ইচ্ছাকৃতভাবে করেছেন। ফলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল এ আর মিলন খানকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ হল সহসভাপতির পদ থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার ঘোষণা করছে। একইসঙ্গে সংগঠনের সব নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হলো, তার সাথে কোনোপ্রকার সাংগঠনিক কোনো যোগাযোগ না রাখার জন্য।”

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত আইন ও শৃঙ্খলা বিধি অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে উপযুক্ত আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য।

বহিষ্কারের বিষয়ে শাখা ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহী বলেন, “আমরা সবসময় নারীদের অধিকার আদায়ে ও তাদের সম্মানে বদ্ধপরিকর। নারীদের বুলিংয়ের বিষয়ে ছাত্রদল জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে। কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার কারণে আমরা প্রথমে মিলনের পদ সাময়িক স্থগিত করি এবং দলের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করি।”

তিনি আরো বলেন, “তদন্ত কমিটি এ বিষয়ে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি অজুহাত দেখান এবং ফোন কেটে দেয়। এতে প্রমাণিত হয় সে দোষী। প্রসাশনের কাছে আমরা আবেদন করেছি, যাতে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। ফেসবুকে বট বাহিনী যেভাবে নারীদের বুলিং করে, তারা যেন এ শাস্তির মাধ্যমে কড়া বার্তা পায়।”

এর আগে, জুলাই ৩৬ আবাসিক হলে রাত ১১টার পর প্রবেশ করায় ৯১ ছাত্রীকে হল প্রাধ্যক্ষের অফিসে ডেকে পাঠিয়ে বিজ্ঞপ্তি দেয় হল প্রশাসন। এ ঘটনায় তৈরীকৃত ফটোকার্ডের নিচে ‘এগুলো ছাত্রী নয়, এগুলো বিনা পারিশ্রমিক যৌনকর্মী’ বলে মন্তব্য করেন আনিসুর রহমান মিলন।

গত সোমবার রাত ১১টার পরে হলে ফেরায় জুলাই ৩৬ হলের ৯১ ছাত্রীকে প্রাধ্যক্ষের অফিসে তলব করে নোটিশ দেয় হল কর্তৃপক্ষ। ওই বিজ্ঞপ্তির একটি ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনা হয়। পরদিন মঙ্গলবার সমালোচনার মুখে অনিবার্য কারণ দেখিয়ে নোটিশটি প্রত্যাহার করে নেয় হল প্রশাসন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed By: SISA IT