খেলাধুলা ডেস্ক || শেষ মুহূর্তে কিলিয়ান এমবাপ্পের অসাধারণ এক গোল ফ্রান্সকে এনে দিল স্বস্তির জয়। শুক্রবার দিবাগত রাতে ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ‘ডি’ গ্রুপের প্রথম ম্যাচে ইউক্রেনকে ২–০ গোলে হারিয়েছে লেস ব্লুজরা।
৮৩ মিনিটে এমবাপ্পের একক নৈপুণ্যের দারুণ গোল ম্যাচ থেকে ইউক্রেনকে ছিটকে দেয়। সেই গোলের সুবাদেই তিনি ছুঁয়ে ফেললেন কিংবদন্তি থিয়েরি অঁরির গোলের রেকর্ড। ফ্রান্সের হয়ে যৌথভাবে হয়ে গেলেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা (৫১ গোল)। তার চেয়ে এগিয়ে আছেন কেবল অলিভিয়ে জিরু (৫৭ গোল)। বিশেষ ব্যাপার হলো, এমবাপ্পে অঁরির গোলসংখ্যা ছুঁয়েছেন ৩২ ম্যাচ কম খেলেই।
গোলের পর তিনি রসিকতা করে বলেন, “ভালোবাসা রইল, টিটি। তবে এখন তোমাকে ছাড়িয়ে যাওয়াই আমার লক্ষ্য। অবশ্যই এটা গর্বের।”
ফ্রান্সের হয়ে এ ছিল এমবাপ্পের প্রথম বিশ্বকাপ বাছাই ম্যাচ। ২০২২ সালের সেই মহাকাব্যিক ফাইনালের পর, যেখানে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনার কাছে হ্যাটট্রিক করেও হেরে যায় তারা।
এর আগে ম্যাচের শুরুতে লেস ব্লুজরা এগিয়ে যায়। ১১ মিনিটে ব্র্যাডলি বারকোলার নিখুঁত ক্রস থেকে গোল করেন মাইকেল ওলিসে। গোলের পর পুরো ম্যাচেই ফ্রান্স নিয়ন্ত্রণে রাখে খেলা। তবে ব্যবধান দ্বিগুণ করতে দেরি হচ্ছিল।
প্রথমার্ধে বারকোলার দৌড়ে ইউক্রেনের রক্ষণ বেশ ভুগেছে। এমবাপ্পে চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু শট যায় ওপর দিয়ে। আরেকবার ওলিসের জোড়া প্রচেষ্টা দুর্দান্তভাবে রুখে দেন ইউক্রেন গোলকিপার আনাতোলি ত্রুবিন। বিরতিতে যাওয়ার সময়ের পরিসংখ্যানও প্রমাণ দিচ্ছিল ফ্রান্সের আধিপত্য। ফ্রান্সের ৩ শট ছিল অন টার্গেটে। ইউক্রেনের নেই একটিও।
দ্বিতীয়ার্ধে ইউক্রেন কিছুটা সাহসী হয়ে ওঠে। ইলিয়া জাবারনির হেড পোস্টে লেগে ফিরে আসে। আরেকবার কনাতে সেভ না করলে গোল পেত ইউক্রেন। তবে সেই চাপ সামলে ফ্রান্স আবারও আক্রমণ সাজায় ওলিসে, দেম্বেলে আর বারকোলাকে নিয়ে।
শেষমেশ ৮৩ মিনিটে হাজির হয় জাদুর মুহূর্ত। ডান দিক দিয়ে দৌড়ে ঢুকে এমবাপ্পে ঘুরিয়ে দেন জাবারনিকে। এরপর ডান পায়ের দারুণ শটে বল জালে পাঠান। আর তাতেই নিশ্চিত হয়ে যায় ফ্রান্সের জয়।
ম্যাচ শেষে ফ্রান্স কোচ দিদিয়ের দেশম বলেন, “আমাদের হারানোর অনেক কিছু ছিল। তাই এই জয়ে বাছাইপর্ব শুরু করা সত্যিই স্বস্তির।”
ফ্রান্স এখন দৃষ্টি দিচ্ছে পরবর্তী ম্যাচের দিকে। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে তারা মুখোমুখি হবে আইসল্যান্ডের। আর ইউক্রেনের জন্য এ হারে শুরুটা হলো বেশ কঠিন। তারা খেলবে আজারবাইজানের বিপক্ষে।