বিনোদন ডেস্ক || ভারতীয় বাংলা সিনেমার অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জি। জীবনটা নিজের শর্তে উপভোগ করেন। ঠোঁটকাটা স্বভাব, সমাজের বাঁকা দৃষ্টিকে পাত্তা না দেওয়ায় বছরজুড়েই আলোচনায় থাকেন তিনি।
স্বস্তিকা মুখার্জি তার ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে নিজের বেশ কয়েকটি খোলামেলা ছবি শেয়ার করেছেন। ছবিতে দেখা যায়, তার সামনের টেবিলে রাখা হয়েছে কয়েক পদের পানীয়। আর এসব ছবিতে বেশ দীর্ঘ ক্যাপশন দিয়েছেন এই অভিনেত্রী।
শুরুতে স্বস্তিকা মুখার্জি বলেন, “ওহ, আমার বয়স ৪৪ বছর এবং আমি খুবই আবেদনময়ী। যারা আমাকে ঘৃণা করেন, তাদের এখন সতর্ক হওয়া উচিত। কারণ আপনারা এই প্রতিযোগিতায় হেরে যাচ্ছেন।”
কম বয়সে যারা নির্লজ্জ, তারা বুড়ি হলেও নির্লজ্জ থাকবে। এ তথ্য উল্লেখ করে স্বস্তিকা মুখার্জি বলেন, “যাই করি বা না করি, কিছু ছাগল বক্তব্য রাখবেই রাখবে। জেঠু মার্কা লোকজন এসে আমাকে বুড়ি বলবে। বলবে, ‘এই বুড়ি বয়েসেও লজ্জা হলো না।’ আরে মশাই, যারা কচিতে নির্লজ্জ তারা বুড়ি হয়েও নির্লজ্জই থাকবে। ওইভাবেই ঘাটে যাবে, মরতে কেন হঠাৎ ফেসবুকে বুক নিয়ে কচকচানি করা পাবলিকদের জন্য লজ্জা পেতে যাবে বলুন তো? মহা ঝামেলা।”
একটি ঘটনা বর্ণনা করে স্বস্তিকা মুখার্জি বলেন, “কাল একটা দারুণ রিল পোস্ট করেছিলাম, তাতে একজন ফিল্টারে মোড়া ট্যারা মুনমুনদি আমায় ‘জোকার’ বলল। আমি আজকাল এদের ট্রল বলে সম্মান দিতে চাই না। এগুলো আমার কাছে খোরাক। আমার মানসিক চাপ কমানোর উপায়। আমি এটাকে ভালোবাসি। এ রকম চরম লেভেলের এন্টারটেইনমেন্ট আর কোথাও পাওয়া যায় না। মানুষ আমাদের এন্টারটেইনার বলে থাকে, আমি ভাই এদের কাছে ডাহা ফেল।”
ছবিতে যেসব পানীয় রয়েছে, তার ব্যাখ্যা দিয়ে স্বস্তিকা মুখার্জি বলেন, “যাইহোক। আমার গোল গাল কমছে, তার জন্য ডায়েট, পরিশ্রম সবই চলছে, শনিবার সকাল সকাল এত শরীর সচেতন জুস খেলাম, ভাবলাম একটু আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করি। ১. অরেঞ্জ। ২. মৌরি মিছরির জল। ৩. ক্যালে। ৪. হিমালয় থেকে আনা জড়িবুটির রস। এবার ফেসবুকের পুলিশ কাকু-কাকিমাদের যদি বলি, ‘জুসে মনোযোগ দিতে, উহু মোটেই দিবে না। ফোকাস অনলি অন ফেস অ্যান্ড বুক।”
“আমি খুশি, এখন আমরা দেখতে চলেছি বুক খোলা পোশাক অপছন্দকারীদের জন্য এক দারুণ দিন। ওহ, আসুক না, আজ রাতে আমার মুড একদম জমে আছে।” বলেন স্বস্তিকা মুখার্জি।